একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ধমকের সুরে বিমলেন্দুকে বলেন, “এভাবে বলা যায় না। বিডিওকে বদলি করা বিধায়কের কাজ নয়। বিডিও আপনার কথা শুনে চলবে তার কোনও মানে নেই। বিডিওকেও আপনার সহযোগিতা করা দরকার।” এরপর অবশ্য বিমলেন্দু বলেন, “ম্যাডাম, এটা শুধু আপনার কাছে বলছি।” এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় সাংসদ আবু তাহেরকে বিষয়টা মেটাতে নির্দেশ দিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগে নদিয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছিল এই বিমলেন্দুকে।
এদিকে, কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউস সংস্কার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও নজরদারির দায়িত্বে থাকা পূর্ত দপ্তরের কর্মীদেরকেও এদিন কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার খুব খারাপ লেগেছে বিষয়টি দেখে। কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউস ১০০ বছরের পুরোনো ভবন। সংস্কারের খরচ হিসেবে পূর্ত দপ্তরকে দু’কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিল্ডিংটা তৈরি হওয়ার পর দেখা গেল ওপরটা ভেঙে পড়েছে। এখন বলছে আরও ৭১ লক্ষ টাকা চাই। যেন মামদোবাজি! টাকা হাতের মোয়া! চাইল আর পেয়ে গেল আকাশ থেকে। ‘মেঘ দে পানি দে’র মতো টাকা দে টাকা দে।'”
এনিয়ে স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে যান, “যাঁরা এই কাজের ঠিকাদারি নিয়েছিল, তাদেরকেই কাজটা করতে হবে। তা না হলে, দে উইল বি ব্ল্যাক লিস্টেড। সে সরকারি হোক, আর বেসরকারি হোক।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সার্কিট হাউস সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন। সেখানে অনেক লোক, অনেক অতিথি আসেন। পূর্ত দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা যাদের এটা নজরদারি করার কথা, তারা কেন এটা করার আগে দেখেননি? আই ওয়ান্ট অ্যাকশন।”