Sonarpur Incident : ফের সোনারপুরে শুটআউট (Sonarpur)। কামরাবাদ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। ওই যুবকের পেটে ও হাতে গুলি লাগে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

হাইলাইটস
- ফের শুটআউটের ঘটনা ঘটল সোনারপুরে
- কামরাবাদ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ
- বন্ধুরাই তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের
ঠিক কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, কামরাবাদ এলাকায় ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে এক বন্ধুর বাড়িতে মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকতেন লাল্টু। সেখানে তাঁরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলেই থাকতেন। তবে শুক্রবার বন্ধুরা কেউ ছিলেন না। ময়ূখের বাড়িতে লাল্টু একাই ছিলেন। রাত সোয়া ১২টা নাগাদ বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তারপর আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। বিশ্বজিতের দাবি, তিনি বাড়ি ফেরেন রাত ২টোর পর। আর ফিরেই শিউরে ওঠেন। দেখেন, ঘরের মধ্যে লাল্টুর রক্তাক্ত দেহ বিছানার উপর পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। সোনারপুর থানার পুলিশ ছুটে যায় কামরাবাদের ওই ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করা হয় লাল্টুর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, খুব কাছ থেকে লাল্টুর পেটে ও হাতে গুলি চালানো হয়। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কী বলছে পুলিশ?
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা বলেন, “কামরাবাদ এলাকায় গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এখনই কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। তবে শরীরে বন্দুকের গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই বিস্তারিতভাবে বলা যাবে।”
কাছের বন্ধুরাই খুন করেছে বলে অনুমান পরিবারের
যদিও কে বা কারা লাল্টুকে গুলি করেছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন লাল্টুর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাই পিন্টুর বক্তব্য, “ওর কোনও শত্রু ছিল না, বন্ধু প্রচুর ছিল। সেই বন্ধুদের মধ্যে খুব কাছের কেউ ওকে এভাবে মেরেছে। অনেক আগে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়। ওর ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দাদার একটা আঙুল ভেঙে গিয়েছে। মেঝেতে কোনও রক্তের দাগ নেই, সব বিছানায়।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ
