ফের বোমা উদ্ধার করা হল স্কুলে মাঠে। ব্যান্ডেলের (Bandel) নলডাঙা নারায়ণপুর প্রাইমারি স্কুলের (Naldanga Narayanpur primary School) সামনে বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সেই বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
হাইলাইটস
- সাত সকালে ব্যান্ডেলে একটি স্কুলের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হল বোমা
- স্কুলের মাঠের মধ্যে তিনটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা
- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়
ঠিক কী হয়েছিল?
স্থানীয় বাসিন্দা বিতন সাহা বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে মর্নিং ওয়াক করি। সেই সময় দেখি স্কুলের মাঠের সামনে পড়ে রয়েছে বোমা। এর আগে কোনও দিনও এমন ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম দেখলাম। স্কুলের মাঠে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করে, সেখানে পড়ে রয়েছে বোমা। কারণ এগুলো তো বাচ্চারা বুঝতে পারবে না। তারা এগুলোকে বল ভেবে খেলতে যাবে। আর ফলে যে কোনও সময় বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে। এই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।”
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা
চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সরাসরি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “বোমার রাজনীতি আমদানি করেছে বিজেপি আর লকেট। স্কুলের সামনে দু-একটা বোম পাওয়া গিয়েছে তার সত্যতা আমি জানি না। ২০১১ সালের পর থেকে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে। তারপর আমরা সমস্ত ধরনের সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি প্রশাসনের মাধ্যমে। ২০১৯-এ লকেট আসার পর এই গুন্ডাবাজি তিনি চালু করেছেন। তাঁদের সংগঠন বলে কিছু নেই। দু-চারগাছা চাকর বাকর নিয়ে লাফালাফি করে। একটি আসনও পাবে না। এই বোমা দেখে চমকাচ্ছে। এর মাধ্যমে যদি কিছু মানুষকে ভয় দেখানো যায় সেই চেষ্টা করছে।”
পালটা তৃণমূল বিধায়ককে আক্রমণ করতে ছাড়েননি হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের আগে নলডাঙাতে বোমা রাখতে দেখেছি, শুধু বোমাগুলো ফাটেনি। পঞ্চায়েত ভোট আসতে না আসতে আবার শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১১ থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আর কোনও শিল্প হোক বা না হোক তৃণমূলের নেতৃত্বে একাধিক জায়গায় বোমের কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলো তারা ভোট আসলেই কাজে লাগায়। সেটাই আবার শুরু হয়ে গিয়েছে। উচ্চ নেতৃত্ব, নীচু তলার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বোমা, বন্দুক মজুত করতে। কারণ সাধারণ মানুষের রায়ে আমরা জিততে পারব না। বোমা বন্দুকের দ্বারা আমাদের জিততে হবে। তাই অস্ত্র মজুত করছে। আর তারা এখন সাংসদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। বিধায়কের নেতৃত্বে চুঁচুড়া বিধানসভার একাধিক জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। পুলিশ সেগুলির কোনওরকম দৃষ্টিপাত করেনি।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফাঁকা মাঠে তিনটি বোমা পড়েছিল। কে বা কারা এগুলো ফেলে গিয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সিসিটিভির ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখছি।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ