Kunal Ghosh TMC: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2022) যত এগিয়ে আসছে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ‘অধিকারী গড়’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে এদিন খেজুরি কলেজ মাঠে বিশাল জনসভা আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ওই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুণাল। ২০১০ সাল থেকে ২৪ নভেম্বর দিনটি হার্মাদ মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল। জনসভা থেকে BJP-কে আক্রমণের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কুণাল।

Kunal Ghosh: বীরবাহার জুতো পালিশ করাব শুভেন্দুকে দিয়ে

এদিন সভা শেষে কুণাল বলেন, “BJP বঙ্গবিরোধী। রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ তৈরি করা অন্যায়। BJP নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছে বাংলাকে যেন টাকা না দেওয়া হয়। বাংলার লোকেরা ১০০ দিনের কাজ করছে, কিন্তু সেই টাকা আটকানোর জন্য বিজেপি নেতারা চিঠি দিচ্ছে। মানুষ এর বিচার করবে। টাকা তো বিজেপির পৈতৃক সম্পত্তি নয়।”

Lottery : ভাগ্যপরীক্ষা! অনুব্রত-বিতর্কের মাঝেই লটারি কিনলেন কুণাল
একাধিক বিজেপি নেতার গলায় ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ শোনা গিয়েছে। অনেক বিজেপি নেতা আকারে ইঙ্গিতে জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসেই তৃণমূল সরকার নড়ে যেতে পারে। বুধবার নবনিযুক্ত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। এদিন পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দুর দিকে ‘ডিসেম্বর’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথিতে সভা করবেন। সেই কারণে শুভেন্দু ভয় পেয়ে গিয়েছে, পায়ের তলার মাটি কাঁপছে। একমাস ধরে শুভেন্দু পাগলের মতো এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিষেক এখান পা রাখলে কাঁথি থেকে নন্দীগ্রাম, খেঁজুরি থেকে হলদিয়া.. গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।”

East Medinipur News : সমবায় ভোটে ফ্লপ ‘নন্দকুমার মডেল’-এ আস্থা রাম-বামের, গুরুত্ব দিতে নারাজ TMC
কুণালের দাবি, বিরোধী দলনেতা সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করতে চাইছে সেই কারণে সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন বুথের কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা পদে যিনি বসে রয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন ও আদালতের বিষয়গুলির ওপর নজর দেওয়া উচিত। বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থা যারা অন্য বিষয়ে মতামত দেন, এগুলি তাদের নজরে পড়ছে না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version