পুলিশ এসে গাড়ি পরীক্ষা করতেই সামনের আসনে একজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ির সামনে আসনে বসে থাকা ব্যক্তির দেহের সিংহভাগই আগুনে ঝলসে গিয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আগুনে ঝলসে যাওয়া ব্যক্তির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই অঞ্চলে আগেও এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। এই ঘটনাটিকেও পরিকল্পিত খুন (Murder Case) বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ঘটনাটি খুন না দুর্ঘটনা পুলিশের তরফে তা এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। জ্বলন্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মৃহদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে (Bishnupur District Hospital) পাঠানো হয়েছে। সোনামুখী থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং মৃতের দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একের পর অপরাধের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ বিশেষ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিদিনই এই জঙ্গলে অপরাধের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পাশাপাশি ওই এলাকায় নিয়মিত পুলিশি টহলদারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাপী কুণ্ডু নামের এক বাসিন্দা বলেন, “মনে হচ্ছে মৃত ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর আগেও জঙ্গলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে বিষয়টি দেখবে।”