এই সময় ডিজিটালকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের স্টেক হোল্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কল্যাণ কর বলেন, “মানববাবুর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর সাহায্য ছাড়া সে সময় আমি নিজের সংস্থার অফিস তৈরি করতে পারতাম না। ওঁর উদ্যোগেই সল্টলেকে আমার অফিস হয়েছিল।” এখানেই শেষ নয়, বনধ সংস্কৃতি একেবারেই পছন্দ করতেন না মানব মুখোপাধ্যায়। এমনটাই জানালেন কল্যাণ কর। তিনি বলেন, “বনধের জেরে কোনওভাবেই যাতে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট না হয়, তা নিয়ে মানববাবু বরাবরই সচেষ্ট ছিলেন। বনধের জেরে কেউ অফিস পৌঁছতে না পারলে কিংবা কাজ নষ্ট হলে, সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে তিনি পদক্ষেপ নিতেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “একটা দিনের কথা খুব মনে পড়ছে। উনি তখন তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী। বিরোধীপক্ষ বনধ ডেকেছিল। আমার সংস্থার কিছু ছেলেমেয়ে অফিসে আসার সময় রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন। কিছুতেই সল্টলেকে পৌঁছতে পারছিলেন না। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে ছিল অফিসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি মানববাবুর দফতরে। উনি তখন অফিসেই ছিলেন। আমার থেকে সবটা শুনে নিজে ফোন করলেন স্থানীয় পুলিশ কর্তাকে। তারপর নিজের উদ্যোগেই পুলিশের গাড়িতে করে আমার অফিসের সেই কর্মীদের রাস্তায় থেকে পিক আপ করে সল্টলেকে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিলেন। এই দিনগুলো কখনই ভুলব না।”
মানব মুখোপাধ্যায়ের গুণমুগ্ধ কল্যাণ কর আরও বলেন, “আমাদের একটা কোম্পানি ফর্ম করতে গেলে প্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন ছিল, তা হল জায়গা। উনি ওয়েবলের মাধ্যমে সেই জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আমি খুব কম সময়ের মধ্যে জায়গা পেয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় যে সাহায্য পেয়েছিলাম তা হল বাইরে থেকে আসা ক্লায়েন্টদের আপ্যায়ন। অনেক সময় ক্লায়েন্টদের মন্ত্রীর কাছে নিয়ে যেতাম। ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন। ছুটির দিনও দেখা করতে কখনও না বলেননি। ইন্ডাস্ট্রি আনতে অনেক উদ্যোগ নিতেন। সেক্টর ফাইভে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।”
ব্যক্তি মানব মুখোপাধ্যায় সম্পর্কেও নানা স্মৃতি আওড়ালেন সেক্টর ফাইভ স্টেক হোল্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি। তিনি বলেন, “খুব মজার মানুষ ছিলেন মানববাবু। মজার কথা হত। মাঝে মাঝেই ওঁর কাছে চলে যেতাম। উনি খুব বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ ছিলেন। আইটির মতো রুক্ষ শুষ্ক জায়গায় নিজেকে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিলেন। ছোট বড় সমস্যা মন দিয়ে শুনতেন। অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে।”