সম্প্রতি চোখের চিকিৎসা করাতে বিদেশে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে তৃণমূলের ‘নম্বর টু’-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, নাম না করে আজ অভিষেককে হালকা খোঁচা দিলে বাঁকুড়ার সাংসদ। যদিও তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন।
চিকিৎসার প্রয়োজনে রাজ্য থেকে অনেক মানুষ দক্ষিণ ভারতে যান। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে খুব প্রসন্ন নয়, তাও এদিন ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, “অনেকে সামান্য গলব্লাডার অপারেশন করানোর জন্য দক্ষিণ ভারতে যান। কেন যাবেন? আমাদের রাজ্যের চিকিৎসকরা যথেষ্ট পারদর্শী…সামর্থবানদের নিজের এলাকার, নিজের রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া। রাশিয়ার মস্কো সফররক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণের অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়েছিল। রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করলেও তিনি রাজি হননি। দেশে ফিরে এসে তিনি অস্ত্রোপচার করেন।”
সম্প্রতি আসানসোলের জনসভা থেকে তৃণমূলকে হারাতে সবাইকে একছাতার তলায় নিচে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন চিত্রতারকা তথা BJP নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোট তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছিল। মিঠুনের মন্তব্যের পর ‘নন্দকুমার মডেল’ আরও জোরাল হয়। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “CPIM-র সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বামেরা এই রাজ্যের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করেছে। তৃণমূল প্রতিনিয়ত নিজডের মারামারি করছে। রাজ্যের সর্বত্র বোমার কারখানা তৈরি হয়েছে। শাসকদল সবাইকে বোমা তৈরির পদ্ধতি শিখিয়েছে। এই সরকারেও পতন হবে।”