উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-এর নির্বাচনে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল বাম-BJP জোট। ৬৩টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলকে পরাস্ত করে নজির গড়েছিল তাঁরা। ‘বাম-রাম’ জোট নিয়ে তৈরি হয় নতুন জল্পনা। তবে মীনাক্ষীর কথায় এ সব কিছুই ‘আকাশ-কুসুম কল্পনা’। বৃহস্পতিবার চন্দননগর বাগবাজারে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মীনাক্ষী। রাম- বাম জোটের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে মীনাক্ষী বলেন, “কুঁজোর চিৎ হয়ে শোবার ইচ্ছা হয়, সব ইচ্ছা সবার পূরণ হয় না। আকাশ কুসুম কল্পনা করলে হবে? আম্বানির কোলে খেলে আর বামপন্থীদেরকে সঙ্গে টানা। তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই, তোমারই বিরুদ্ধে লড়ব তোমাকে সঙ্গে নিয়ে, এটা হয় নাকি।”
যদিও রাম ও বাম জোটের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। সূত্রের খবর, নন্দকুমার মডেলের অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করেছিল সিপিএম (CPIM) নেতৃত্ব। আর তাতেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। স্থানীয় স্তরে দল বিরোধী পথে হাঁটার কারণে গত ২৭ নভেম্বর ১০ সিপিএম নেতাকে বহিষ্কার করে লাল শিবির। বাম-বিজেপি জোট বেঁধে ‘মঞ্চ’ গড়া এবং প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় গত ২৬ নভেম্বর দলের ১২ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বহিষ্কারের মাধ্যমে লাল শিবির পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে দলের বাকি সদস্যদের কড়া বার্তা দিল জোট রাজনীতির ক্ষেত্রে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
CPIM-র জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি জানিয়ে দেন, সমবায় সমিতির নির্বাচনে BJP ও তৃণমূল, কারও সঙ্গেই জোট করা যাবে না বলে দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচনে দলের যে সমস্ত সদস্যরা প্রার্থীপদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও নন্দকুমারে জোরাল আশা জাগিয়েও মহিষাদলে কার্যত ভেসে যায় বাম-বিজেপি জোট। গত ২০ নভেম্বর মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেলেন জোটপ্রার্থীরা। ৭৬ আসনের সমবায়ের ভোটে ৬৮টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৮টি আসনে জিতেছেন BJP ও CPIM-র জোট প্রার্থীরা।