West Bengal News পর্যটন প্রেমীদের পাশাপাশি এবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দাদের জন্যেও সুখবর। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য এবার থেকে ভাড়া নেওয়া যাবে তিস্তা উদ্যান (Teesta Park)। বছরের বিভিন্ন মরশুমে তিস্তা উদ্যানে পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য উদ্যানকে ব্যবহার না করে উদ্যানের একটি অংশ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য খুলে দেওয়া হবে জলপাইগুড়ির এই জনপ্রিয় উদ্যানের দরজা। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গে দক্ষিন দিনাজপুরের বালুরঘাট পার্ক, কোচবিহারের এনএমপার্ক, জলপাইগুড়ি গুড়ির মালবাজার পার্ককেও বিয়ে সহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।

Jalpaiguri Town Station : ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি, বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে
বন দফতর (Forest Department) সূত্রে খবর, সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য এবার তিস্তা উদ্যানকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। কেবল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের এই পার্ক নয়, উত্তরবঙ্গে আরও তিনটি পার্কে বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন সহ ওপেন কনফারেন্সের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারী মাসের প্রথম দিন থেকে নির্দিষ্ট ভাড়ার পরিবর্তে শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করা যাবে এই উদ্যান। রবিবার জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যানে শিশুদের দুটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানিয়েছেন DFO (উদ্যান ও কানন বিভাগ উত্তর) অঞ্জন গুহ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার (Jalpaiguri Municipality) পুরপ্রধান পাপিয়া পাল, উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

Elephant Attack : খাবারের সন্ধানে মুদির দোকানে হাতির হানা, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর
DFO জানান, করোনার পরিবর্ত সময়ে দেখা যাচ্ছে, যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য একটু খোলা জায়গায় বেছে নাওয়া হচ্ছে। সেটা বিয়ে বাড়ি হোক বা অন্যান্য অনুষ্ঠান। সেই বিষয়টি দেখে নিয়েই একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বন মন্ত্রীর (Forest Minister) কাছে। পার্কগুলিকে ওই সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। DFO আরও জানান, এগুলি অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হলে আদতে সরকারের আয় কিছুটা বৃদ্ধি হবে। পার্কগুলি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

Cricket Match : জঙ্গলমহলে IPL-র ধাঁচে চলছে KPL সিজন ২, উচ্ছ্বসিত খাতড়াবাসী
তবে সরকারি ভাবে অনুমতি দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলি বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানান তিনি। সূত্রে খবর, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয় এই উদ্যান। গত বছর শীতে এই উদ্যান খোলার পর প্রচুর পর্যটক সমাগম হয় এই উদ্যানগুলিতে। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে বছরের শুরুর এক সপ্তাহে বেশ কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয় তিস্তা ও মাল উদ্যানে। এবার সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য উদ্যানগুলিকে ব্যবহার করা হলে আয় কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছে বন দফতর (Forest Department)।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version