শহরের গাড়ি চালকদের একটা অংশ কোনও ভাবেই ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা করছেন না ফের তার এদিন ফের প্রমাণ মিলল চিংড়িঘাটা মোড়ে (Kolkata Chingrighata More)। সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও তার পরোয়া না করে গাড়ি চালানোতেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। সিগন্যাল না মেনে কটি বেকারি সামগ্রী বোঝাই ম্যাটাডোর দ্রুত গতিতে সাউথ ট্যাংরা রোড দিয়ে ক্যানাল সাউথ হয়ে বেলেঘাটা চাউলপট্টি কালভার্টের দিকে ধেয়ে আসে। সেসময় একটি যাত্রী বোঝাই স্মার্ট ক্যাব শিয়ালদহ থেকে ক্যানাল সাউথ রোড ধরে চিংড়িঘাটার দিকে আসছিল। গতিবেগ ছিল ৮০ কিলোমিটারেরও বেশি। সংঘর্ষ হয় দুই গাড়ির। বিকট শব্দে স্মার্ট ক্যাবটি ধাক্কা মারে বেকারি গাড়ির পেটে। ধাক্কায় বেসামাল হয়ে দুটি গাড়ির একটি সামনে থাকা আরও দুজন পথচারীকে ধাক্কা মারে। অন্যদিকে, আরেকটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ধাক্কা খায় কালভার্টের রেলিংয়ে। ঘটনায় গাড়ির আরোহী, চালক ও দুই পথচারী সহ আহত হয় সাত জন। আহতদের তৎক্ষণাৎ NRS হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চিংড়িঘাটা মোড়ে প্রায় একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন দুপুর ১টা নাগাদ নিক্কো পার্ক থেকে বাইপাসের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি পরপর কয়েকটি গাড়ি ও পথচারীকে ধাক্কা মারে। ওই সময় গার্ডরেল দিয়েও দ্রুত গতির বেপরোয়া গাড়িটিকে থামানো যায়নি। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ সাত জন। পরে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা আহত খুকু গায়েনের মৃত্যু হয় হাসপাতাল। সেক্টর ফাইভ থেকে চিংড়িঘাটার দিকের রাস্তায় ক্রসিং পেরোনোর সময় গাড়িটি পিষে দেয় তাঁকে। একদিন পরে হাসপাতালে মৃ্ত্যু হয় তাঁর।
রবিবারও শহরে জোড়া দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে। প্রাথমিকের TET চলাকালীন টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব। পরপর গাড়ি ও বাইকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ টাকি বয়েজের সামনে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র বোস রোডের উপর আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাইকে ধাক্কা মারে ওই বেপরোয়া গাড়ি। এর জেরে বাইকটি গড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। আহত হন ২ জন।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।