গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই গ্রামের অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) পূর্বতন তালিকায় নাম ছিল, কিন্তু বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা তালিকা থেকে বেশ কিছু নাম বাদ দিয়েছেন। এমনকী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে না গিয়েই তাঁরা এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ। এদিন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ফের গ্রামে গেলে, তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ।
বিক্ষোভকারী শম্পা রায় বলেন, “তালিকায় আমার নাম ছিল, পরে কেটে দিয়েছে৷ এই অঙ্গওয়াড়ি কর্মীরা সার্ভে করতে যখন গিয়েছিল, আমরা কেউ ছিলাম না৷ এরপর ওরা নাম কেটে দিয়েছে৷” বিক্ষোভকারী কবিতা বাউরি বলেন, “তালিকায় আমার নাম এসেছিল৷ দিদিমণি কেটে দিয়েছে৷” বিক্ষোভকারী কদম লোহার বলেন, “যাদের দোতলা-তিনতলা বাড়ি আছে, তাদের নাম তালিকায় আছে, আর আমরা ঘর পাওয়ার যোগ্য হয়েও নাম নেই৷ আমাদের এখানে সার্ভে করতেও আসেনি কেউ৷ BDO এসে গ্রামে ঘুরে দেখে সার্ভে করে নিয়ে যান৷” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কেন আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেল৷” অনিমা লোহার বলেন, “আমাদের নাম আসার পরও কেটে দিয়েছে৷ আমার মাটির ঘর, ত্রিপল টাঙিয়ে থাকি৷ অথচ কোনও সার্ভে না করেই নাম বাদ দিয়ে দিল৷”
তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শুভশ্রী মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “BDO-র নির্দেশে কাজ করেছি। আমি কারও নাম কাটিনি৷” আর এক দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আন্না রজক বলেন, “আমি শুধুমাত্র সঙ্গে ছিলাম, পেন ধরিনি। যা করার অন্য দু’জন করেছেন৷ আমি বলেছিলাম এরা ঘর পাওয়ার যোগ্য৷ কিন্তু ওরা কী করেছে বলতে পারব না৷” ICDS কর্মীকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বাঁকুড়া-১ ব্লকের BDO অঞ্জন চৌধুরী গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখেছে শুনেই আমি এসেছি৷ দরকার হলে আমাকে অভিযোগ জানাক৷” তাঁর দাবি, যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, যোগ্য না হলে তালিকায় নাম থাকবে না৷