Tunisha Sharma, Sheezan Khan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তুনিশা আত্মহত্যা মামলায় রবিবারই গ্রেফতার করা হয় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খানকে। সেদিনই তাঁকে চারদিনের পুলিসি হেফাজত দেয় আদালত। সোমবার থেকেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। শীজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তুনিশাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরেই এই অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তৈরি হয় এফআইআর। সেই এফআইআরের পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিনেতা শীজান খানকে।
আরও পড়ুন- Dev-Mithun Chakraborty: ‘মিঠুনদার অভিনয় নিয়ে আমার দলের বাকিদের চুপ থাকা উচিত’
সোমবার পুলিসি হেফাজতে শীজান স্বীকার করেন যে, সে তুনিশার সঙ্গে ব্রেকআপ করেছিলেন। পাশাপাশি জানান যে, কেন তিনি এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ওয়ালিভ পুলিসের কাছে শীজান বলেন, ‘মৃত্যুর কিছুদিন আগেও একবার আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিল তুনিশা। তখন আমিই ওকে উদ্ধার করি। তবে শ্রদ্ধাহত্যাকাণ্ডের পর আমি ভয় পেয়ে যাই। তখনই আমি এই সম্পর্কের ব্রেক আপ করি। ধর্মের কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’ মঙ্গলবার সামনে আসে নয়া তথ্য। সোমবার সকালে বিচ্ছেদের কারণ ধর্ম বললেও পরে শীজান বলেন তাঁর সঙ্গে তুনিশার বয়সের ফারাক অনেক, সেই কারণেই ব্রেক আপ। এরপর সে বলে যে দুই পরিবারের তরফেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাই তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এক মহিলা পুলিস অফিসারের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শীজান খান। তাঁর বর্তমান প্রেমিকার কথা জিগেস করায় তিনি বলেন, তাঁর কোনও প্রেমিকা নেই। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই কাঁদতে শুরু করেন শীজান। অভিনেতা হওয়ার কারণে সন্দেহ হয় পুলিসের, যে আদৌ এই কান্না আসল কিনা। কারণ পুলিসের মতে, শীজানের মুখে দুঃখের কোনও ছাপ নেই, তাই আচমকা কেন এই কান্না তা নিয়েই সন্দিহান পুলিস।
শনিবার ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীন সেটের ওয়াশরুমে আত্মঘাতী হন ২০ বছর বয়সী অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। জানা যায় যে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা শীজান খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রীর মা। শনিবারই তিনি পুলিসে অভিযোগ জানান, দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ১৫ দিন আগেই তুনিশার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়েছিল শীজানের।
আরও পড়ুন- Sushant Singh Rajput: ‘ভাঙা ছিল সুশান্তের পা, আত্মহত্যা মৃত্যুর কারণ নয়’ দাবি হাসপাতালকর্মীর
তুনিশার মা সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পরে সম্পর্কে ভেঙেছে শীজান। আগে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল শীজান। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে থাকতেই তুনিশার সঙ্গে রিলেশনশিপে জড়ায় সে। তিন চার মাস ধরে ওকে ব্যবহার করে। তারপর ব্রেক আপ করে নেয়। আমার আর্জি শীজানকে যেন ছেড়ে দেওয়া না হয়। আমার বাচ্চা চলে গেল।’ বিচ্ছেদের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। সেই কারণেই হয়তো আত্মঘাতী হয়েছেন তুনিশা। যদিও তুনিশার সেটে হাজির ছিলেন না তাঁর প্রাক্তন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পরে জানা যায় যে, গায়ে কোনও আঘাতের দাগ নেই তুনিশার। গলায় দড়ি দিয়ে ওয়াশরুমে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও তুনিশার কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শীজানকে। রবিবার তাঁকে পাঠানো হয়েছে চারদিনের পুলিসি হেফাজতে।