বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী মোদী
এদিন বন্দে ভারত এবং বেহালা মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা আমায় ক্ষমা করে দিন। আজ আমার বাংলায় আসার কথা ছিল। কিন্তু, ব্যক্তিগত কারণে আমি তা পারলাম না। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার ভোররাতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী (Heeraben Modi)। শতায়ু মায়ের শেষযাত্রায় দেখা যায় শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রীকে। গান্ধীনগরের বাড়িতে মায়ের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ভেঙে পড়েন নমো। প্রথা মেনে শতায়ু হীরাবেনের শেষযাত্রায় তাঁর দেহ নিয়ে কাঁধে নিয়ে হাঁটলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী ছেলেও। শীতের সকালে অ্যাম্বুল্যান্সে মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে থাকতে দেখা গেল শোকস্তব্ধ এক ছেলেকে। সদ্য মাকে হারানোর বেদনা যাঁকে ঘিরে রেখেছে। এরপরই কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলার রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে। প্রথমে বন্দে ভারত এবং তারপর জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে সমবেদনা মুখ্যমন্ত্রীর
মাতৃবিয়োগের পরও প্রধানমন্ত্রীকে কর্তব্যে অবিচল দেখে সাধুবাদ জানালেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ব্যক্তিগত জীবনে আপনার এতবড় ক্ষতি সত্ত্বেও আপনি বাংলার জন্য ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি সবেমাত্র মায়ের শেষকৃত্য সেরে এসেছেন। একটু বিশ্রাম নিন।” তিনি আরও বলেন, “আপনি আপনার কর্তব্যে অবিচল। মায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা এভাবেই ব্যক্ত করেছেন। আপনাকে এর জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা। আপনি হয়ত সশরীরে পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেননি কিন্তু আপনার হৃদয় দিয়ে আপনি বাংলায় পৌঁছে গিয়েছেন। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি এই অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করে বিশ্রাম করুন। আপনার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই আমার। মায়ের কোনও বিকল্প হতে পারে না। আপনার মা, আমারও মা। এটা আপনার জন্য খুবই দুঃখের দিন। ঈশ্বর আপনাকে শক্তি দিক এই শোক কাটিয়ে ওঠার জন্য।”
