সিবিআই সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কের এই সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গ্রামীর গরিব চাষীদের থেকে কোনও ভাবে নথি জোগাড় করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট গুলি খোলা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মে থাকা সই গুলির হাতের লেখা একই ধরনের। সিবিআইয়ের অনুমান কোনও একজন ব্যক্তিই অ্যাকাউন্টগুলি খুলেছেন। হাতের লেখা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবছে সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ব্যাঙ্কের লেনেদেনে রাজ্য খাদ্য দফতরেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এদিন ব্যাঙ্কের সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার স্বরূপ দে-র চলে অভিযান। ব্যাঙ্ক থেকে পেন ড্রাইভে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ব্যাঙ্কের নতুন ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত ও প্রাক্তন ম্যানেজরা ইন্দ্র গুরুং আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েছেন। এক পর্যায়ে সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে বলে শোনা যায়, ‘আমরা সব জানি। যা জানেন বলে দিন, নইলে আপনাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।’
গোরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ২৮ দিন পর অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল এদিন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার পর অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আর জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রত ও সায়গলকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাঙ্কে সিবিআই অভিযানে অনুব্রতর বিপদ বাড়ে কিনা, সেটাই এখন দেখার।