তখনই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় BJP নেতা কর্মীদের। বাদানুবাদ ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধে পরিনত হতে বেশি সময় নেয়নি। এর থেকে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয় গোটা এলাকায়। উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা BJP-র সভাপতি তুষার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। হুগলি সাংগঠনিক জেলা BJP-র সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “যারা প্রাপ্য, যাদের মাটির বাড়ি আছে, সেই সব মানুষের জন্য আমাদের লড়াই। যাদের ঘর দিয়ে জল পড়ে, যাদের ঘর নেই, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প শুরু করেছেন। অথচ দেখা যাচ্ছে যাদের অট্টালিকা রয়েছে, তারা ঘর পাচ্ছে। আর যাদের নাম তালিকায় থাকার কথা, তাদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। যারা তৃণমূল কর্মী তাদেরকেই ঘর দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমাদের আজকের বিক্ষোভ।”
এদিকে, BJP-র ডেপুটেশনকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজ্য কৃষাণ ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সম্পাদক তরুন সেন বলেন, “BJP পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ঠকানোর জন্য ও নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য মিথ্যা প্রচার করে ডেপুটেশনের মাধ্যমে বলছে আবাস যোজনায় দুর্নীতি হচ্ছে। আবাস যোজনায় দুর্নীতি যদি কেউ করে থাকে সেটা হচ্ছে মোদি সরকার।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলার মানুষকে নিয়ে এরকম নোংরা খেলা খেলছে, যাতে এর লাভের গুঁড় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections) পাওয়া যায়। গরিব মানুষকে তাদের ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে মাত্র এক মাসের নোটিশে কেন্দ্রীয় সরকারের যত রকম নিয়ম রয়েছে, সব নিয়ম মেনেই নাম পাঠানো হয়েছে। তারপরেও তারা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে দুর্নীতি হয়েছে বলে।”