তিনি বলেন, “ছেলে টাকার বিনিময়ে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করছিল কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি আমার ছেলেকে চিনি। এমন কাজ করতে পারেনা। আমার মনে হচ্ছে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।” এর সঙ্গে তিনি জানান, ছেলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কথা বলতে পারেননি।
এদিকে প্রীতমের সঙ্গে কলকাতায় ধরা পড়া বিষ্ণু মাহাতো পেশায় স্কুলশিক্ষক ও তৃণমূল (TMC) কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষ্ণু মাহাতোর সঙ্গে শ্রীদামের খুব ভালো সম্পর্ক তাই ছেলের ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজে না গিয়ে বিষ্ণু মাহাতোকে পাঠিয়েছিলেন বলে জানালেন শ্রীদাম। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ প্রসাদ এই বিষয়ে জানান, “শ্রীদাম ঘোষের ছেলে টেট পাশ করেছিল কি না তা জানা নেই আমাদের। আমাদের মনে হয় এর পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে। প্রশাসনের উচিত ভালো ভাবে তদন্ত করে এই চক্রকে হাতেনাতে ধরা।”
বিষ্ণু মাহাতোর বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজার আমগাঁও এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিষ্ণু মাহাতো ১২ – ১৩ বছর থেকে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি করেন। যদিও বিষ্ণুর স্ত্রী কল্পনা মাহাতো বিষ্ণুর চাকরি করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার স্বামী কোনও স্কুল শিক্ষকের চাকরি করেন না। তিনি কি কাজ করেন আমার জানা নেই। গত পরশুদিন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। তারপর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।”
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের (WB Primary TET Interview) ভুয়ো কল লেটার (Fake Call Letter) নিয়ে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে প্রীতম ঘোষ। এই কান্ডে প্রীতম ছাড়াও বিষ্ণু মাহাতোকে আটক করা হয়। শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রীতমকে দেখে সন্দেহ হয় কর্মীদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয় এবং তাঁর হাতে থাকা কল লেটার দেখে বুঝতে পাড়া যায় যে সেটি আসলে ভুয়ো।