রত্নাকে ‘আলটিমেটাম’ শোভনের
ভিডিয়ো বার্তায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে কার্যত আলটিমেটাম দিয়েছেন স্বামী শোভন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের কথায়, “আপনি যে গালমন্দ করে চলেছেন, সেটা দুলাল দাসের মেয়ে হিসেবে করতে পারেন। তবে সেইদিন আর বেশি দেরি নেই যেদিন আপনার নামের পাশ থেকে চট্টোপাধ্যায় সরে যাবে। আপনি ভদ্রলোকের কথা বলছেন? আপনি তো তাদের সঙ্গে মেশেন না। কোনও ধারণা আছে কারা তাঁরা? আমায় শুনতে হয়েছে, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, জীবনের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ ডেকে এনেছিলাম আপনাকে বিয়ে করে। আপনার আসলে স্বভাব যায় না মনে। নিজের মতো করে আয়নায় দেখে অনেকের সম্পর্কে অনেক খারাপ মন্তব্য করেন। এসব থেকে বিরত থাকুন। বৈশাখী যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। অনুগ্রহ করে আমায় ক্ষমা করুন। অনেক হয়েছে, এবার আমায় মুক্তি দিন। যেখানে বসে এইসব বলছেন, সেই বাড়িটা আইনগতভাবে বৈশাখীর। অন্য জায়গা খুঁজে নিন আপনি। আপনার সুবুদ্ধির উদয় হোক। আমার জীবন থেকে আপনি বিদায় নিন।”
বৈশাখীর মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ শোভন
বৈশাখী তাঁর মেয়েকে শোভনের পিতৃপরিচয়ে বড় করতে চেয়েছে বলে দাবি করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে শোভনের পালটা মন্তব্য, “বৈশাখী তাঁর নিজের পরিচয়ে মহুলকে বড় করে তুলছে। আমি স্বীকার করেছি, আমার তিন সন্তান। সপ্তর্ষি, সুহানি এবং মহুল। এর কোনও অন্যথা হবে না। মহুল সেইভাবেই মানুষ হবে। আমার বৈশাখীর প্রতি সম্মান আরও বেড়ে গিয়েছিল যেদিন ও বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানির সময় বলেছিল মহুলকে প্রতিপালনের জন্য তাঁর কোনও আর্থিক সাহায্য লাগবে না। আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম তখন আপনি ছেলেমেয়েদের পাঠিয়েছিলেন পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়ে।”
রত্নাকে ‘ছেলেধরা’ কটাক্ষ
বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়কে কোন সাহসে ছেলেধরা বলা হচ্ছে? ক্ষুব্ধ শোভন ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে আমার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। যখন এই মামলা শুরু হয়েছিল আমি একজন জনপ্রতিনিধি ছিলাম, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলাম, কলকাতা পুরসভার মেয়ার ছিলাম। কিন্তু, এই রাজনৈতিক পরিচয়কে কখনও বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় প্রভাব খাটানোর জন্য ব্যবহার করিনি। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন, তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। ৪০-৫০ জন কোর্টরুমের বাইরে থেকে বৈশাখীকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করে। নানা অঙ্গভঙ্গি দেখানো হয় তাঁকে। আমি বাধ্য হয়ে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। যার সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তিনি একজন বিধায়ক, পুর প্রতিনিধি। তিনি হুমকির সুরে বলছেন, দলের ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে কোর্ট ঘেরাও করে দেবেন। এটা একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ২২ বছর সংসার করার পর আমি বলছি, যার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছিল, তিনি একজন ছেলেধরা। তাঁর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই আমি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছি।”