West Bengal News : শ্রীরামপুরে ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের কারণে কারখানার নিকটবর্তী কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুলে পড়েছে ঘরের টিনের চাল। আতঙ্ক এলাকা জুড়ে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় শ্রীরামপুর থানার (Serampore Police Station) পুলিশ। কারখানার যন্ত্রাংশ ফেটে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। জনবসতি এলাকার মধ্যে এরকম ভারী শিল্পের কারখানা অবস্থিত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

Serampore Factory Blast : শ্রীরামপুরের কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মৃত ২
বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের কারণে ঘর-বাড়ির একাংশ পড়ে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুর দক্ষিণপাড়া গণেশ ইস্পাত (Ganesh Steel & Alloys Ltd.) নামে একটি কারখানা রয়েছে। লোহার ছাঁট থেকে লোহা গলানোর কাজ হয় এই কারখানায়।

Serampore Fire Incident : শ্রীরামপুরের বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন
এদিন শ্রমিকরা গ্যাস দিয়ে সেই ছাঁট কাটিং এর কাজ করছিল। সেই সময় হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশে থাকা পাঁচ থেকে ছটি বাড়ি। করো বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, কোথাও আবার খুলে গিয়েছে ঘরের টিন। তীব্রতার পরিমাণ এতটাই ছিল যে, এক গৃহস্থের বাড়ির সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে নিচে। ভেঙে যায় জানলার কাঁচ। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ (Serampore Police Station)।

তবে এরকম জনবসতি এলাকার মধ্যে কারখানার ব্যবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত্রা দেবনাথ জানান, কারখানার জন্য প্রচণ্ড সমস্যা হয়। সব সময় ধোঁয়া ও গন্ধে থাকা যায় না। ধোঁয়ার ফলে দিনের বেলা গোটা এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তিনি বলেন, “আজ সকালে বাড়িতে কাজ করার সময় হঠাৎই প্রচণ্ড জোরে শব্দ শুনতে পাই। বোমের থেকেও ভয়ংকর আওয়াজ। ভয় পেয়ে যাই। বিস্ফোরণে জানলার কাঁচ ভেঙে যায়। অন্যান্য বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়ির পাকা খুলে পড়ে যায়।”

Nadia Bomb Blast : ধুবুলিয়ায় বিস্ফোরণ জখম মহিলা, বাড়িতেই বোমা মজুত?
অপর এক বাসিন্দা রিম্পা ঘোষ বলেন, ছেলেকে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার পরেই প্রচণ্ড একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘরের উপরে থাকা সিলিং ফ্যান নিচে খুলে পড়ে যায়। ভয়ে ছুটে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ি। বাচ্চারা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। বাইরে বেরিয়ে দেখি গোটা কারখানা ধোঁয়া ধুলোয় ভরে গিয়েছে। এমনভাবে কারখানায় কাজ হয় আমাদের ঘর পর্যন্ত কেঁপে যায়। তিনবি বলেন, “যদি ঘর ভেঙে পড়তো, তাহলে আরও বড় বিপদ হয়ে যেত। কী ভাবে বাস করব সেটাই এখন চিন্তার।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version