Sikkim Tour : আন্দোলনের জেরে লাটে পর্যটন ব্যবসা! সিকিম যাওয়া কি নিরাপদ? – sikkim tourism facing problems due to protest of sikkim democratic front


West Bengal Local News: সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (Sikkim Democratic Front) দুইদিনের আন্দোলনের জেরে পর্যটন ব্যবসা বড় ধাক্কা লাগতে পারে। দুইদিনের আন্দোলনের জেরে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন পর্যটক থেকে শুরু করে গাড়ি চালক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ফের ৮ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নাগরিক ফোরাম বা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। এই বনধকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে সিকিমের শাসক দল সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা। বুধবার ফের পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সিকিমে যেভাবে আন্দোলন চলছে, তা পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য বড়সড় আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিকিমে এখনও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে ফের পর্যটকদের ঢল নামবে সেখানে। শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর গাড়িলক সিকিমে পর্যটকদের নিয়ে যান। কিন্তু সিকিমে আন্দোলন, বনধের কারণে পর্যটকদের বুকিং বাতিল হলে সেক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Sikkim Tourism News Today: পড়ল না বনধের প্রভাব, শিলিগুড়ি-সিকিম যান চলাচল স্বাভাবিক
হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সিকিমে সারাবছর পর্যটকেরা এসে থাকেন। গরম পড়তেই সিকিমে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। কিন্তু, শান্ত সিকিমে যেভাবে আন্দোলন বনধ চলছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আন্দোলন, বনধের ছবি দেখছেন অনেকে। আগামীতে পর্যটকদের বুকিং বাতিল হলে সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে।’ পর্যটন ব্যবসায়ীরা ছাড়াও গাড়িচালকরাও সিকিমের আন্দোলন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। কারণ আন্দোলনের উপর তারে রুজিরুটি অনেকটাই নির্ভরশীল। মেহবুব খান নামে এক গাড়ি চালক বলেন, ‘সিকিমে বনধের জন্য সমস্যা হচ্ছে। যদিও যান চলাচলে কোনও ব্যাঘাত হয়নি। তবে এরপরও চিন্তা রয়েছে। আগামীতে আন্দোলন কোনদিকে যাবে সেটাই এখন দেখার।’

Sikkim Tourism : উত্তপ্ত সিকিমে বিপাকে পর্যটকরা, চড়া গাড়িভাড়া দিয়ে শিলিগুড়ি ফেরার হিড়িক
তবে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরের পর থেকে স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে যাচ্ছে গাড়ি। বাস চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। সিকিম থেকেও গাড়ি, বাস নামছে। যদিও পর্যটকদের একাংশের দাবি, গাড়ি ভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কী কারণে সিকিমে আন্দোলন?

১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছিল যে সিকিমের বাসিন্দা নেপালিরা ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত।’ সিকিম সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণি শর্মা। অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে দু’দিন সিকিম বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের নেতা পবন কুমার চামলিং। আগামী দিনে সিকিম পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *