তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ও আজ বনগাঁ (Bangaon), গাইঘাটা ও গোপালনগর থানায় বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের BJP বিধায়কের (MLA Swapan Majumdar) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই বুধবার বিকেলে গাইঘাটার (Gaighata) জ্বলেস্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে BJP-র একটি কর্মী সভায় উপস্থিত হয়ে আক্রমণে আরও ঝাঁজ বাড়ান তিনি।
এদিন তিনি বলেন, “আমি আগে যা বলেছিলাম, আবারও বলছি, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চেষ্টা করলেই চেলা কাঠা দিয়ে মেরে ও জুতো পেটা করে লাল করে দেবেন। ৩টে কেন! ৩০০টা কেস দিয়েও আমাকে থামানো যাবে না। কত কেস দেবে দিক। আমি এলাকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগেও কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও কাজ করে যাব।” তিনি আরও বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রীতিমতো হারের ভয়ে আছে তৃণমূল। তাই BJP কর্মীদের বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে কেসের পর কেস করে যাচ্ছে। কিন্তু আমিও বলে রাখছি, এসব করে আমাকে ও আমাদের কর্মীদের আটকানো যাবে না।” গত সোমবারেই তিনি এই গাইঘাটা এলাকা থেকেই তৃণমূল কর্মীদের জুতো মারার কথা বলেছিলেন স্বপন মজুমদার।
তিনি বলেন, “যদি কেউ ভোট লুঠ করতে আসে তাহলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। কেউ ভোট লুট করতে আসলে তাকে বাধা দিতে হবে।” এরপর জুতো মারার নিদান দেন BJP বিধায়ক। বলেন, “সকলে ভাল করে শুনে রাখুন, তৃণমূলের কোনও নেতা এসে যদি চোখ রাঙায়, যদি তাদের তাবেদারি দেখাতে চায়, যদি তাদের বাপের ঘর থেকে দিচ্ছে বলতে আসে, তাহলে সটানে জুতো খুলে মারবেন। গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে। কেউ তাবেদারি করে তাঁর ঘরের থেকে দিচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections) যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। রাজনীতির ময়দানে বাড়ছে কু-কথার স্রোত। আর তাতেই গা ভাসিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক হাওয়া গরম করছেন সব দলেরই কিছু নেতা, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।