Primary TET Scam : নিয়োগ দুর্নীতি : নম্বর দেওয়া হয় পেন্সিলে! তদন্ত ইডির – primary tet scam new information revealed to ed


এই সময়: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ২০১৬-সালের টেটে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে জালিয়াতি হয়েছিল কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রাথমিক ভাবে ইডির সন্দেহ, লিখিত পরীক্ষায় ওএমআরে জালিয়াতির মতো ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্টেও অনিয়ম হয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই দুই টেস্টে নম্বর দেওয়ার সময়ে তৎকালীন ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের কেউ কেউ পেন্সিল ব্যবহার করেছিলেন। সেই নম্বর পরে বদলে পছন্দমতো প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। তখন যাঁরা ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন এবং যে প্রার্থীরা ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট দিয়েছিলেন – তাঁদের থেকে তদন্তকারীরা খোঁজ নিচ্ছেন, সত্যিই পেন্সিল ব্যবহার হয়েছিল কি না, এ সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল কি না এবং এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম কী?

Justice Abhijit Ganguly:’ …কয়েকটা প্রশ্ন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’, প্রাথমিকে দুর্নীতি নিয়ে এবার ৫ জেলার ইন্টারভিউয়ারদের তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়েরি
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী ও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইন্টারভিউয়ের সময়ে নিয়ম মেনে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই হয়নি। অর্থাৎ, ক্লাসে হবু শিক্ষকরা কী ভাবে ছাত্রদের পড়াবেন, ব্লাকবোর্ডের সামনে তাঁকে ডেমো ক্লাস দিতে হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের মতে, পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ – দু’ক্ষেত্রেই গরমিল করা হয়ে থাকতে পারে এবং তার পিছনে টাকার লেনদেনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্র মারফত তাঁরা জেনেছেন, লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিট জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁদের নাম মেধাতালিকায় উঠেছিল, তাঁরা যাতে ইন্টারভউয়েও সুবিধা পান, সেই চেষ্টা হয়েছিল। পেন্সিল ব্যবহারের নেপথ্যেও এটাই কারণ হতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।

SSC Scam In West Bengal : দুটো নির্দিষ্ট উত্তর, বাকি খাতা ফাঁকা!
দিনকয়েক আগে পর্ষদের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল – হলফনামা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ২০১৬-র প্রাথমিকে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। এ সম্পর্কে যে নথি ও সাক্ষ্য এসেছে, তাতে স্পষ্ট যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট যেখানে হয়েছে, সেখানে পরীক্ষার কোনও শর্ত মানা হয়নি। প্রতি জেলায় যাঁরা ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দেয় পর্ষদ। সেই তালিকা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জেলা ধরে গড়ে ১০ জনকে তলব করেছেন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ থেকে গড়ে ১০ জন করে শিক্ষককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিক আন্দোলনকারীদের তরফে অর্ণব ঘোষের বক্তব্য, ‘আমরা দেখেছিলাম, ইন্টারউয়ের সময়ে কয়েকজন চিরকুট নিয়ে এসেছিলেন। প্রতি জেলার ডিপিএসসি-তে যাঁরা ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন, তাঁদের সেই চিরকুট দেওয়া হতো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *