ি
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী ও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইন্টারভিউয়ের সময়ে নিয়ম মেনে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই হয়নি। অর্থাৎ, ক্লাসে হবু শিক্ষকরা কী ভাবে ছাত্রদের পড়াবেন, ব্লাকবোর্ডের সামনে তাঁকে ডেমো ক্লাস দিতে হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের মতে, পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ – দু’ক্ষেত্রেই গরমিল করা হয়ে থাকতে পারে এবং তার পিছনে টাকার লেনদেনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্র মারফত তাঁরা জেনেছেন, লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিট জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁদের নাম মেধাতালিকায় উঠেছিল, তাঁরা যাতে ইন্টারভউয়েও সুবিধা পান, সেই চেষ্টা হয়েছিল। পেন্সিল ব্যবহারের নেপথ্যেও এটাই কারণ হতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
দিনকয়েক আগে পর্ষদের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল – হলফনামা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ২০১৬-র প্রাথমিকে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। এ সম্পর্কে যে নথি ও সাক্ষ্য এসেছে, তাতে স্পষ্ট যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট যেখানে হয়েছে, সেখানে পরীক্ষার কোনও শর্ত মানা হয়নি। প্রতি জেলায় যাঁরা ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দেয় পর্ষদ। সেই তালিকা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জেলা ধরে গড়ে ১০ জনকে তলব করেছেন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ থেকে গড়ে ১০ জন করে শিক্ষককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিক আন্দোলনকারীদের তরফে অর্ণব ঘোষের বক্তব্য, ‘আমরা দেখেছিলাম, ইন্টারউয়ের সময়ে কয়েকজন চিরকুট নিয়ে এসেছিলেন। প্রতি জেলার ডিপিএসসি-তে যাঁরা ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন, তাঁদের সেই চিরকুট দেওয়া হতো।’
