মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকি বহাল প্রায় সকলেই। সেই কারণে উপনির্বাচন ঘিরে দুর্গে পরিণত হয়েছে সাগরদিঘি। নির্বাচনের তরফে এই উপনির্বাচনে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এই সাগরদিঘিতে ২৪৫টি সাধারণ বুথ ও একটি অক্সিলিয়ারি বুথের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে DC RC সেন্টারে রবিবার সকালে ধরা পড় চূড়ান্ত ব্যস্ততা ছবি। সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে শুরু করেন ভোটকর্মীরা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাগরদিঘিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৪ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪২৭ জন। ৫ জন উভয়লিঙ্গের ভোটার।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সাগরদিঘিতে এবার ত্রিমুখী লড়াই দেখার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দিলীপ সাহা। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন বাইরন বিশ্বাস।
ভোটের আগেই সব রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে শাসকদলের মুখ পুড়বে।” অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের সমর্থন তাঁদের দিকে রয়েছে বলে দাবি বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের। তিনি বলেন, “২০২১ এ আমরা দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম। এবার জয় নিশ্চিত।”
যদিও বিরোধীদের যাবতীয় দাবি অস্বীকার করেছ শাসকদল তৃণমূল। সাগরদিঘি তাদের দখলেই থাকছে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই আমাদের কাছে মূল ইউএসপি। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি জোট করেও তৃণমূলকে সরাতে পারবে না।