এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের পারুই থানার ভেড়ামারি গ্রাম। এখানেই হল বিস্ফোরণ আর তার জেরেই মাটিতে মিশে গেল বাড়ির একাংশ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ল টিনের চাল। তৃণমূল অঞ্চল কমিটির সদস্য হাফিজুল শেখের বাড়িতে হয় এই বিস্ফোরণ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম, এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বোলপুর পর্যন্ত শোনা যায় তার শব্দ। পুলিশ সূত্রে খবর, হাফিজুল শেখের বাড়ির বাথরুমেই মজুত করা ছিল বোমা। সেই বোমাই বিস্ফোরণ হয় শুক্রবার রাতে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক হাফিজুল। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পারুই থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে বোলপুরের SDPO ও পারুই থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে আতঙ্ক এলাকায়। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়। তবে শনিবার পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এমনকি এখনও পর্যন্ত বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল নেতা হাফিজুলেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই হাফিজুল শেখের বাড়ি এখন জনমানবহীন। এই ঘটনা নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, “এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।
প্রায় তিন থেকে চারটি গোষ্ঠী আছে একই এলাকাতে। মাঝে মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা লাগে, আর তা পৌঁছে যায় রক্তারক্তির পর্যায়ে। এই হাফিজুলও একজন তৃণমূল কর্মী, তার সঙ্গে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সদস্য। সেই জন্যই মনে হয় বাড়িতে বোমা রাখা ছিল”। এই নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামে। আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে রয়েছেন গ্রামের মানুষজন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তার আগে রাজ্যের জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক জনমানসে।
এই বোমা উদ্ধারের এবং বিস্ফোরণের শেষ কোথায়, তার উত্তর নেই পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতা কারোর কাছেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি চাইছেন সমগ্র জেলার মানুষ।