বাঙালি খাবারে মুগ্ধ বিখ্যাত বিদেশি বিজ্ঞানী। কাঁটা চামচ ছেড়ে খাবারে হাত লাগালেন তিনি। চেটেপুটে খেলেন ভাত-ডাল-মাছ-পায়েস সহ হরেক রকম বাঙালি পদ। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার। তিনি সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে এসেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে গত চার বছর ধরে কর্মরত মহিষাদলের যুবক শুভ্রশঙ্খ দে। কর্মসূত্রে বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টারের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে খড়গপুর IIT-র প্রযুক্তিগত চুক্তি হয়। আর সেই কারণেই ভারতে পা রেখেছিলেন প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার।

TMC Clash : পুরসভার মধ্যেই কাউন্সিলরকে চড়! প্রতিবাদে ‘পেন ডাউন’ কর্মচারীদের
কাজ শেষ করে তিনি বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পা রাখেন দে পরিবারে। দে পরিবারের গৃহকর্ত্রী ইলা দে নিজের হাতে বাঙালি খাবার রান্না করেন তাঁর জন্য। মেনুতে ছিল স্যালাড বড়ি ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাত, রুটি,নারকেল কোরা দিয়ে মুগ ডাল, আলু পোস্ত, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, খাসি মাংসের ঝোল,আমের চাটনি, পায়েস।

প্রফেসর স্টিফেন এই খাবার খাবেন কিনা তা নিয়ে প্রথমে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল দে পরিবার। কিন্তু, তিনি সবকিছু চেটেপুটে খান। প্রথমে শেষ পাতের চাটনি খেতে না চাইলেও পরে তা চেয়ে খান এবং প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। বাঙালি খাবারে মুগ্ধ হয়ে আগামীদিনে স্ত্রী এলিজাবেথকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ভারতে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি।

East Medinipur News : দু’মুঠো ভাতের খোঁজে ৭ বছর আগে অচেনা মহিলার হাত ধরে বেপাত্তা প্রতিবন্ধী নাবালিকা, পুলিশের সাহায্যে বাড়ির পথে
দে পরিবারের কর্তা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভবেশ দে এবং গৃহকর্ত্রী শিক্ষিকা ইলা দে। তাঁদের একমাত্র সন্তান শুভ্রশঙ্খ গত চার বছর ধরে কর্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।কয়েকদিন আগেই ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছেন তিনি। জ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার খড়গপুর IIT কলেজে আসছেন বলে জানতে পারে শুভ্রশঙ্খ। তিনিও কাজের সূত্রে ডাক পান IIT খড়গপুরে

সেখানেই এই বিদেশি অতিথিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান তিনি। প্রায় চারঘণ্টা স্টিফেন তাঁদের বাড়িতে থাকেন। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। নিজের হাতের বাঙালি খাবার বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টারকে খাওয়াতে পেরে খুশি শিক্ষক দম্পতি ভবেশ দে ও ইলা দে।

Digha Hospital : জটিল অস্ত্রোপচারে সফল, রোগীর ১২০০ গ্রামের ভার লাঘব করে নজির দিঘা হাসপাতালে
তাঁরা বলেন, “ওঁর আসার জন্য আমরা সমস্ত আয়োজন করেছিলাম। বিদেশি খাবার নয়, বাঙালি খাবারই তাঁর পাতে পরিবেশন করতে চেয়েছিলাম। সেই মোতাবেক সমস্ত আয়োজন করেছিলাম। তিনি খাবার খেয়ে অত্যন্ত খুশি। হাত দিয়েই খাবার খেয়েছেন। আগামীতে সস্ত্রীক বাড়িতে আসবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version