ঠিক কী বলেছেন তিনি? এবিপি আনন্দকে কৌশানি বলেন, ‘আমি কুন্তল ঘোষকে চিনি। ১০০ জনের ইভেন্ট করি। সেই রকম ওঁর হয়েও ইভেন্ট করেছি। এভাবেই আলাপ। আমি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখি না।’
বনি সেনগুপ্ত এবং কুন্তল ঘোষের মধ্যে টাকার লেনদেনের কথা জানতেন? কৌশানির উত্তর, ‘বনির কুন্তলদার সঙ্গে কী কথা হয়েছে, কী ট্রানজাকশন হয়েছে সেটা আমি সত্যিই জানি না। বনির মা ওর কাজকর্ম-আয়ব্যয়ের হিসাব দেখেন। ওর বাবাও সেক্ষেত্রে সাহায্য করেন।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমি বনির অভিভাবক নই যে ওকে এ নিয়ে নির্দেশ দেব। সত্যি কথা বলতে আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। শুনলাম, ২০১৭ সালে ঘটনাটি ঘটেছে। পাঁচ বছর আগের কথা বলা হচ্ছে। তখন কী লেনদেন হয়েছে বা কী কথা হয়েছে সেটা তো আমার জানার বিষয় নয়।’
কৌশানির সাফ কথা, ‘আমি কোনও টাকা নিইনি সেটা আমি জানি। এই গোটা বিষয়ের সঙ্গে আমি কোনওভাবে যুক্ত নই।’
বনি যে কুন্তলের টাকায় গাড়ি কিনেছিলেন, সেই কথা কি জানতেন কৌশানি? নায়িকার জবাব, ‘বনি একজন সফল অভিনেতা। সে কি নিজের টাকায় গাড়ি কিনতে পারে না? এটা নিয়ে আমি দু’ বার কেন ভাবব? সন্দেহজনক বিষয় নাকি?’
কুন্তল ঘোষের থেকে কৌশানি টাকা নিয়েছেন? তাঁর উত্তর, ‘একটা সিজনে ৪০-৫০টা শো করি আমি। ইভেন্টের বিনিময়ে আমি টাকা নিয়েছি। কুন্তল ঘোষ এমন বড় ব্যাক্তিত্ব নন যে তাঁকে নিয়ে আমি দু’বার ভাবব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওঁর ইভেন্টে পারফর্ম করেছি। টাকা নিয়ে ফিরে এসেছি। এর বেশি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আমার জীবনে তাঁর কোনও গুরুত্ব নেই।’
কৌশানি মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কুন্তল ঘোষের ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক নেই। পাঁচ বছর আগে যা কথা হয়েছে সবটাই বনির সঙ্গে। তাই এ বিষয়ে বনি বিবৃতি দেবে। আমি নয়।’
নায়িকার সংযোজন, ‘বনির সঙ্গে কৌশানির ব্যক্তিগত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে থাকে। কৌশানি কিন্তু বনির প্রফেশনাল লাইফ চালায় না।’