এরপরেই অনেকে সোনালির বাবাকে ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নম্বরে ফোন করেন। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সোনালির বাবা ফোন করে মেয়ের সমস্যার কথা জানান। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে সমস্যার বিষয় এবং বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা দফতরে দেওয়া হয়। এরপরেই সোনালির পরিবারকে যাবতীয় নথি নিয়ে শনিবার বিকাশ ভবনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেই মোতাবেক মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় দৌড়ে আসেন সোনালির বাবা। এরপর শনিবার মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেন তিনি। ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় খুশি সোনালির বাবা খোকন মিদ্দা। “মেয়ের একটা বছর নষ্ট হবে না”, অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জবাব তাঁর।
সোনালির বাবা জানান, এই বছর ফর্ম ফিল আপের সময় মেয়ে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর সেই জন্য অ্যাডমিট পায়নি সে। এদিকে একটি বছর নষ্ট হবে তা ভেবে আকুল হয় গোটা পরিবার। উদ্বেগে খাওয়া দাওয়াও ত্যাগ করে সোনালি। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মেয়ে দিন রাত পড়াশোনা করেছে, জানান তাঁর বাবা।
খোকনের কথায়, “ওর জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু, আমি বাবা হিসেবে তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। এরপর পরিজনরা আমাকে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করার পরমর্শ দিয়েছিলেন। এরপর কী ভাবে অ্যাডমিটের জন্য আবেদন করতে হবে, সেখান থেকেই আমাদের পুরোপুরি গাইড করা হয়। সেই মোতাবেক আমরা আবেদন করি এবং মেয়ে অ্যাডমিট পেয়েছে। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।”
এদিকে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি সোনালিও। তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পরীক্ষায় বসতে পারব এটা ভাবতে পারিনি। আমি ভালো করে পরীক্ষা দেব যাতে পরিবারের সকলের মান রাখতে পারি।”