শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। স্রেফ দলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান বদল নয়, জেলায় জেলায় ফের পর্যবেক্ষকের পদও ফিরছে তৃণমূলে। ভোটের প্রচারে যুব সংগঠনকে পথে নামার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর তেমনই।
রাজ্যের বেশিরভার পঞ্চায়েতেরই মেয়াদ শেষের মুখে। নিয়ম অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা মে মাসেই। ভোটের বিজ্ঞপ্তি অবশ্য জারি হয়নি এখনও। তাহলে? প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল।
এদিন কালিঘাটে নিজের বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সাংসদ, বিধায়ক ও দলের প্রথমসারির নেতারা। কী আলোচনা হল? সূত্রের খবর, বৈঠকে সাগরদিঘির দায়িত্বে থাকা নেতাদের ভর্ৎসনা করেন মমতা। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিও সম্পর্ক খোঁজখবর নেন তিনি।
তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক
——–
পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করবেন স্বয়ং মমতা।
আগামী ২ মাস তৃণমূলস্তর পর্যন্ত লাগাতার প্রচার
দলের যুব সংগঠনকে পথে নামার নির্দেশ
মাসে ৩ দিন করে জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক
এদিকে একুশের বিধানসভা ভোটের পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়েছিল তৃণমূল। কেন? দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, জেলার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় নেতারাই। সংগঠনের বাইরের কেউ নাক গলাবে না। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিও কার্যকর করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটে আগে পর্যবেক্ষক ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে। সঙ্গে অরূপ,ফিরহাদ,মলয়দের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব বন্টন।
তৃণমূলে জেলাওয়াড়ি দায়িত্ব বন্টন
——–
বীরভূমের দায়িত্বে মমতা নিজেই
বর্ধমান ও নদিয়ায় অরূপ বিশ্বাস
হাওড়া ও হুগলিতে ফিরহাদ হাকিম
বাঁকুড়ায় মলয় ঘটক
দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপস রায়
জঙ্গলমহলে মানস ভুঁইয়া
ব্যবধান মাত্র ২২ মাসের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার সাগরদিঘি কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। উপনির্বাচনে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। শাসকদলের সংখ্যালঘুর সেলের চেয়ারম্যান পদে এবার রদবদল ঘটল। হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের জায়গায় দায়িত্বে এলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন।