Purba Medinipur : ভোটে জিতেও সমবায়ের বোর্ড গঠন করতে পারল না শাসকদল তৃণমূল। পাঁশকুড়া ব্লকের মাইশোরার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলের পরেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়া ব্যালট বৈধ না অবৈধ তা দু’সপ্তাহের মধ্যে শুনানি করে রাজ্য কোঅপারেটিভ ইলেকশন কমিশনারকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আপাতত স্থগিত থাকল বোর্ড গঠন।

গত ৫ মার্চ মাইসোরার শ্যামসুন্দরপুর পার্টনার সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। ৯ টি আসনের ওই সমবায় সমিতির সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। ব্লক সভাপতি সুজিত রায় এবং মহিসরের উপপ্রধান স্বপন খাঁড়ার প্রার্থীরা ৪টি করে আসনে জয় পান।

Udayan Guha : ‘এমন সংগঠন তৈরি করতে হবে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাবে না’, বার্তা উদয়নের
রাধাবল্লবপুর আসনটি প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা সমান হওয়ার ফলে লটারি হয়। লটারিতে সুজিত রায়ের প্যানেলের প্রার্থী তপন দলুই জয় লাভ করেন। হেরে যান তৃণমূলের উপপ্রধানের প্রার্থী স্বপন দোলোই।

লটারির মাধ্যমে একটি আসন জিতে বোর্ড গঠনের অধিকার পায় ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়ের প্যানেল। ওই নির্বাচনে আঙুলের ছাপ দেওয়া ব্যালট গুলি ভোট কর্মীরা বাতিল করে দেন। তার ফলে ওই আসন টি ড্র হয়ে যায়।

SSC Recruitment Scam : গ্রুপ সি পদে চাকরি খোয়ালেন হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা, জোর বিতর্ক
৬ মার্চ নির্বাচনের পরের দিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বপন। বিচারপতি এমডি নিজাম উদ্দিন এজলাসে শুনানি হয় আবেদনের। শুনানি শেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য কো-অপারেটিভ ইলেকশন কমিশনারকে আগ্রহী সব পক্ষকে নিয়ে শুনানি করে জবাব দিতে হবে।

ফলে সমবায়ে জয়লাভ করার পর বোর্ড গঠন করতে পারেনি তৃণমূল। হাইকোর্টের নির্দেশের আপাতত বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, “মহামান্য আদালতের নির্দেশনামা পড়েছি, কোথাও ফলাফল বা বোর্ড গঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। সমবায় নির্বাচন কমিশনকে হিয়ারিং করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিয়ারিং শেষে বোর্ড গঠন হবে আগামী ২৮ মার্চ।”

Co Operative Election : কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী সমবায় সমিতিতে বামেদের জয়, খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল-BJP
তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী দলের নিয়ম না মেনেই নির্বাচনে প্রার্থী দেয় বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও তৃণমূলের দুই শিবিরের এই টানাপোড়েনকে ‘গোষ্ঠী কোন্দল‘ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি BJP। স্থানীয় BJP নেতৃত্বের কথায়, দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিজেরা মেটাতে পারে না। কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সেই দলের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *