ঘুম থেকে উঠে টিভিতে কার্টুন চ্যানেল খুলে বসে তারা। কিন্তু গোল বাধে দু’জনের দুটো আলাদা কার্টুন চ্যানেল পছন্দ হওয়ায়। টিভির রিমোটের দখল নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। পাড়ার স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া দিদি, ভাইয়ের গালে চড় বসিয়ে রিমোট কেড়ে নেয়।
নাবালক কাঁদতে শুরু করলে ঠাকুমা তাঁকে শান্ত করার জন্য নাতনিকে হুমকি দিয়ে বলেন, বাবা-মা বাড়িতে এলে ভাইকে মারার নালিশ করবেন। বলবেন, এই কাজের জন্য যাতে নাতনিকে শাস্তি দেওয়া হয়। নাতিকে শান্ত করে ঠাকুমাও এর পর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ওদিকে দিদিও ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বহু পরে নগর বাড়িতে ঢুকে ঘটনা শুনে মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করেন। বকবেন না বলে আশ্বাস দেওয়ার পরেও দরজা না খোলায় ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাকতে গিয়ে দেখেন, মেয়ে সিলিং থেকে ঝুলে থাকা একটি লোহার রডে মায়ের শাড়ি দিয়ে ফাঁস বানিয়ে ঝুলছে।
চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভাঙেন। ততক্ষণে সব শেষ। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। নগর মণ্ডল বলেন, “আমরা বকাঝকা করব, সেই ভয়েই বোধ হয় নিজেকে মেরে ফেলল মেয়েটা।” বাড়ি ভর্তি লোকজন, কান্নার রোলের মধ্যে ছোট ভাইটা তখন কেবলই শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।