ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী নাইসা’র অফিসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাদেরই এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বহু বিকৃত ওএমআর শিট (OMR Sheet)। সিবিআই কোর্টে জানায়, তাদের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। ওএমআর শিট কোনও সাধারণ কাগজ নয়। এর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যে উচ্চ প্রযুক্তি রয়েছে। ওএমআর শিট-এর সঙ্গে একটা অ্যানসার স্ট্রিং থাকে, যার দ্বারা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। এ ক্ষেত্রে এসএসসির অফিসে ওএমআর শিটগুলি স্ক্যান করা হয়েছিল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেই ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আদালতে আইনজীবীদের যুক্তি দেয়, উত্তরপ্রদেশ সরকারও নাইসা’কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। মামলার শুনানিতে নিজের কম্পিউটার থেকে ওএমআর শিটের স্বাক্ষর পরিবর্তন করে এনে আদালতে পেশও করেন কর্মচ্যুতদের এক আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, জমা পড়া ওএমআরেও বিকৃতি ঘটানো সম্ভব। পরে তদন্তে উঠেও আসে সেই বিষয়টি।
ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়েই নাইসার ডিরেক্টরকে দফায় দফায় জেরা করে সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, দুর্নীতি আঁতাতে তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট হতেই এদিন গ্রেফতার করে সিবিআই।
অন্যদিকে. Group C-তে বেআইনি নিয়োগের প্রমাণ পেতেই কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।