West Bengal Local news: ফের বিস্ফোরক মন্তব্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha)। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড়ের মাঝেই বাবা কমল গুহকে কাঠগোড়ায় তুলে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বাম আমলে দীর্ঘদিন খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন কমলবাবু। তাঁর মৃত্যুর পর উদয়নের এহেন মন্তব্যে নিন্দার সুর বিরোধীদের গলায়। কিন্তু রবিবারও নিজের মন্তব্যে অনড় উদয়ন। তিনি আরও জানিয়েছেন, আজও সুযোগ হলে দলের ছেলেদের চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করেন।Udayan Guha : ‘উদয়ন একজন প্রতারক’, কমল গুহকে নিয়ে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ RSP
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি বলেন, “আমি আবারও বলছি, বাম আমলে একটা কোটা সিস্টেম ছিল। বাম আমলে কোটা সিস্টেমে চাকরি হয়েছে এবং ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Block) তার ভাগ পেয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক ভাগ পাওয়া মানে কোচবিহারের অনেকের চাকরি হয়েছে। জেলা সম্পাদক হিসেবে বাবাকে সেই তালিকা অনুমোদন করতে হয়েছে। পরবর্তীকালে আমি যখন জেলা সম্পাদক ছিলাম আমাকেও দলের স্বার্থে সেই তালিকা অনুমোদন করতে হয়েছে। এটা জেনেই তালিকা অনুমোদন করেছি যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন।”

Udayan Guha : ‘বাম আমলে চাকরি ভাগ হত’, বিস্ফোরক অভিযোগ উদয়ন গুহর
এখানেই শেষ নয়, চাকরি নিয়ে আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উদয়ন। তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে পার্টির ছেলেদের এখনও আমরা চাকরি দিই। আমি মন্ত্রী হিসেবে তিনজনকে সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করতে পেরেছি। নিয়ম অনুযায়ী এক বছর পর তাদের চাকরি স্থায়ী হবে। সেই তিনজনের প্রত্যেকেই পার্টির ছেলে।”

উদয়নার মন্তব্য তৃণমূলের একাংশ যে ভালো চোখে দেখছে না কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কথা থেকেই তা স্পষ্ট। উদয়নের মন্তব্য প্রসঙ্গে শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, “উনি পাগলের মতো কী বলেছেন আমি জানিনা। কিন্তু চিরকুটে ওইভাবে চাকরি দেওয়া যায় না। চাকরি দেওয়ার জন্য অন্তত একটা আবেদন পত্র লাগে। আমি যখন প্রথম কাউন্সিলর হই তখন আমাকেও অনেকে পুরসভায় চাকরির জন্য অনুরোধ করত। রিক্রুটমেন্ট রুলস চালু হয়ে যাওয়ার পর থেকে এইভাবে চাকরি দেওয়া যায় না”

Udayan Guha: বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে প্রয়াত বাবাকেও দুষলেন উদয়ন, পালটা সমালোচনা ফিরহাদের
রবিবার উদয়নকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “পিসি ভাইপোর কাছে ভালো হওয়ার জন্য উদয়ন এই কথা বলছে। আমার বাবাকে বিধানসভায় কখনও আক্রমণ করা হলে আমি তার প্রতিবাদ করি। আর এরা নিজের বাবার দিকে আঙুল তুলছে। এর থেকে বড় লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version