West Bengal News : বামপন্থী নেতার মূর্তির পাশ থেকে খুলে নেওয়া হল লাল পতাকা। মূর্তির পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হল আবর্জনা। চাঞ্চল্য নদিয়া জেলার ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলে। রাতের অন্ধকারে এলাকার কোনও দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড করে গিয়েছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেউ কেউ ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও দেখছেন।

CPIM TMC Clash : দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে CPIM-TMC সংঘর্ষ, পিংলায় আহত দুই পক্ষের ৭
স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়া জেলার বাম নেতা সমরপাল চৌধুরীর একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে নদিয়া জেলার ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলে। সেখান থেকেই রাতের অন্ধকারে লাল পতাকা খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেন। তাঁরাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটিকে খবর দেয়। বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, নকশাল আন্দোলন চলাকালীন CPIM MLA নদিয়া জেলা সম্পাদক ছিলেন সমরপাল চৌধুরী। তিনি গত ১৯৮০ সালে ২৫ মে শহীদ হন। এরপরই তাঁর স্মৃতিসৌধ হিসেবে ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হয়।

Jalpaiguri Crime : ঝগড়ার মাঝেই বোনের গায়ে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাল দাদা, মর্মান্তিক ঘটনা জলপাইগুড়িতে
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এর কারণে সমর পাল চৌধুরীর আবক্ষ মূর্তি সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। পরে ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের জাতীয় সড়কের পাশে নতুন করে আবক্ষ মূর্তি তৈরি করে দেন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সমর পাল চৌধুরীর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয় এবং স্মৃতিচারণ হিসাবে দিনভর চলে নানান কর্মসূচি।

সেদিন মূর্তিটির চারপাশে বেশ কিছু দলীয় লাল পতাকা লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, গতকাল রাতে কেউ বা কারা সেই লাল পতাকা খুলে নিয়েছে। আবক্ষ মূর্তির গায়ে বাঁশ দিয়ে টাঙানো একটি পতাকা খুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় আবক্ষ মূর্তির পাশে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস ফেলে নোংরা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি। যদিও বিষয়টির পিছনে জমি দখলের প্রচেষ্টা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক রথীন পাল চৌধুরী। তাঁর কথায়, এলাকায় কিছু মাফিয়ারাজ রয়েছে, তারা ওই শহিদ স্মৃতির জায়গাটিকে দখল করতে চাইছে, সে কারণেই এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে।

Nadia News : ৩০ লাখ না দিলে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে সব! শান্তিপুরে উড়ো চিঠি ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক
তিনি বলেন, “এখানে মফিয়া রাজের আগ্রাসনের একটা ব্যাপার আছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। অথচ আমরা এই শহিদ বেদী প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই করেছি। কিন্তু কিছু জনের এটা সহ্য হচ্ছে না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *