সারা ভারত কুড়মি সমন্বয় সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাত বলেন, “রাজ্য সরকারের অবিলম্বে সংশোধিত সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে প্রেরণ করে পূর্ব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কুড়মি জনজাতির দীর্ঘদিনের আত্মপরিচিতির সাংবিধানিক বঞ্চনার অবসান ঘটাক।”
৪ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ছ’টা থেকে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর মহকুমার খেমাশুলীতে । অবরোধের জেরে যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে । বহু গাড়ি মানিকপাড়া, খালশিউলি দিয়ে বাইপাস পথে পাঠিয়েছে পুলিশ । লোধাশুলী হয়ে কিছু গাড়ি ঝাড়গ্রাম শহর দিয়ে ধেড়ুয়া হয়ে মেদিনীপুর হয়ে চৌরঙ্গীর কাছে চলে যাচ্ছে । যার যারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দূরপাল্লার বহু কাঁচামালের গাড়ি এবং পণ্যবাহী গাড়ি । অ্যাম্বুলেন্স সহ জরুরী পরিষেবার গাড়িগুলিকে ছাড় দিয়েছে কুড়মি সামাজিক সংগঠন ।
ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে রেলটেঁকা এবং ডহরছেঁকা কর্মসূচি শুরু হয়েছে । খেমাশুলীর কাছে গতকাল থেকে ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি জাতীয় সড়কের পাশে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের খড়গপুর-টাটানগর শাখার রেল পথ অবরোধ করা হয়েছে । অবরোধের আগামসূচি থাকার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্দেশিকা জারি করে একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে খড়গপুর ডিভিশন ।
কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ এই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো বলেন, “আমাদের মূল দাবি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কেন্দ্র সরকারের ট্রাভেলস এফেয়ার দপ্তর যে জাস্টিফিকেশন চেয়েছে সেই জাস্টিফিকেশন যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাঠায় তাহলেই আমরা কিন্তু অবস্থা আন্দোলন থেকে সরে আসবো ,অন্যথায় আমরা এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাব “। রাজেশ মাহাতো আরও জানিয়েছেন, “অনির্দিষ্ট কাল আন্দোলন চলাকালীন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুই বন্ধ রয়েছে” ।
