শুধু চাকরি নয়, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নামে পানশালার লাইসেন্স বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের সোমনাথ ভট্টাচার্যের গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নথিভুক্ত অভিযোগ অনুযায়ীই জানা গিয়েছে ৬৬ লাখ টাকারও বেশি টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার গ্রুপ সি সহ বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। লাগাতার জেরার পর সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
২০১৯ সালে হুগলির এক বাসিন্দা বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই গত বৃহস্পতিবার ওই এসিপির বরাহনগরের বনহুগলীর বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায় ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার হাজির হন ওই এসিপি। প্রায় সাত ঘণ্টা জেরার পর তাকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুরের ডিডি। শনিবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। একই অভিযোগ সিআইডিতেও হয়েছিল এসিপির বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, চাকরির বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে বরানগর থানায় ২০২১ সালে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্ত শুরু হতেই গোয়াবাগানের বাসিন্দা শৌর্য সাহা অভিযোগ করেন তাঁকে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এবং তাঁর বোনকে কলকাতা পুরসভায় গ্রুপ সি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দু দফায় ৩৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য।
আরও তথ্যের জন্য রিফ্রেশ করুন…