জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লিতে মুকুল রায়? তবে শুভ্রাংশু রায় এর কাছে এখনও কোন খবর নেই। তবে মুকুল রায় নিখোঁজ হওয়ার পরই ফোন করে উদ্বিগ্ন শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল পুত্র এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ফোন করে ছিলেন। বাবার খবর নিয়েছিলেন।’ কিন্তু মুকুল রায় দিল্লির কোথায় আছেন এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ সত্ত্বেও কেন এখনও খোঁজ পেলেন না শুভ্রাংশু? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, মুকুল রায় আগের সেই মুকুল রায় নেই! মুকুল রায় অসুস্থ, তাই বাবাকে নিয়ে এসে আগে চিকিৎসা করাতে হবে। তারপর কোন দলে গেল তার বিচার হবে।
আরও পড়ুন, Tapas Saha: টাকা নিয়ে সরকারি দফতরে চাকরি, আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেলাইন করার জন্যই বিজেপি এই কাজ করছে। এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ করে চেস্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষনে বাবা ফ্লাইটে উঠে গেছে। এরপর থেকে বাবার আর কোনও খোঁজ নেই!’ মুকুল রায়ের একাধিক শারীরিক অসুবিধে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ দিল্লিতে যাওয়ার ফলে উদ্বিগ্ন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, ‘বাবার একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে। অনেকগুলো ওষুধ তিনি খান। এখন তিনি কোথায় আছেন, ওষুধ খাচ্ছেন কি না কিছুই জানি না। আমরা চিন্তিত। উদ্বিগ্ন বাবার চিকিৎসকরাও।’
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক সত্তরোর্ধ্ব মুকুল রায় অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। এখানে তাঁর বিশেষ চিকিৎসা চলছে। তার জন্য মাঝেমধ্যে হাসপাতালে ভরতি হতে হয় তাঁকে। ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে লড়াই করে জিতেছিলেন মুকুল রায়। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও দলবদল আইনের কারণে এই মুহূর্তে মুকুল রায় কোন দলের বিধায়ক, তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
যদিও রাজনীতির ময়দানে অবশ্য এখন দেখা-ই যায় না মুকুল রায়কে। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছিলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ নন মুকুল। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একটি বিমানে দিল্লি রওনা হন তিনি। তাঁর নামে একটি বোর্ডিং পাসও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু তারপর দিল্লি গিয়ে কোথায় মুকুল রায়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা। পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে খবর।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: নোটিসকাণ্ডে নাটকীয় মোড়! তথ্য তলব দিল্লির, অভিষেককে সিবিআই-এর নয়া চিঠি