নিমতা থানার অন্তর্গত ফতেল্লাপুর এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি ধাবা হোটেল দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার গণ্ডগোলের সূত্রপাত। দলবল নিয়ে এসে ধাবা থেকে ধাবা কর্মী বাবু খানকে বের করে বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দমদম পুরসভার নিমতা এলাকার দুষ্কৃতী শেখ ইজাজউদ্দিন ওরফে বাপ্পার বিরুদ্ধে। ধাবা কর্মী বাবু খানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
হাতে বাঁশ নিয়ে দলবলের সঙ্গে ধাবাতে ঢুকে ধাবা কর্মীকে বের করে নিয়ে যাওয়ারছবি ধরা পড়েছে CCTV ক্যামেরায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। ঘটনার পর থেকে ধাবা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে এই ধরনের ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে BJP নেতৃত্ব।
BJP নেতা কিশোর কর বলেন, “রাজ্যের সব জায়গায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন এগুলোকে কঠোরভাবে বন্ধ করুক। না হলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কোনোভাবেই কাটবে না। শুনেছি ধাবার মালিকের থেকে টাকা না পেয়েই এই হামলা চালানো হয়েছে। চারিদিকে কাটমানির রাজত্ব ছেয়ে গিয়েছে।”
এই বিষয়ে আহত ধাবা হোটেল কর্মী বাবু খান বলেন, “ওই সময় আমি ধাবাতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে বাপ্পা আর ওর কিছু লোক এসে আমাদের শাসাতে শুরু করে। আমি সেই নিয়ে ওদের সঙ্গে কোথা বলতে গেলেই ওরা আমার ওপর চড়াও হয়, আর আমাকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়। তারপর সবাই মিলে ব্যাপক মারে আমাকে। ধাবায় উপস্থিত বাকি লোকজন আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও ওরা খুবই মারমুখী ছিল।”
ধাবা হোটেল মালিক মীর মহম্মদ ওসমান বলেন, “বাপ্পা এলাকার দাগী দুষ্কৃতী। বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ধাবা থেকে তোলাবাজি করতে চাইছিল। আমি রাজি হইনি। তাতেই আক্রোশে এই হামলা চালিয়েছে।” এদিকে এই হামলার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন মীর মহম্মদ ওসমান ও অন্য ধাবা মালিকরা। তাঁরা প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।