রণয় তেওয়ারি: পুজোর আগে নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয় কলকাতা। গাড়ি চলাচল থেকে শুরু করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ সবেরই ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে যায় আগে থেকেই। ইদের ক্ষেত্রেও আগাম সেই ব্যবস্থা করে ফেলল কলকাতা পুলিস। ইদের দিন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে কয়েক হাজার পুলিসকর্মী। বসছে কয়েকশো পুলিস পিকেট।
আরও পড়ুন-ভারতের ধনীতম শহর মুম্বই! বিশ্বের এই ধনী-তালিকায় কলকাতা কোথায়?
যে কোনও উত্সবের আগে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে থাকে পুলিস। সম্ভবত শনিবার পালিত হচ্ছে ইদ। তবে তা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার উপরে। ওইদিন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কলকাতায় মোতায়েন করা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার পুলিস। বিভিন্ন জায়গায় থাকবে ৩৪৬ পুলিস পিকেট। এছাড়াও শহরের অলিগলিতে টহল দেবে ৫৬টি বাইক প্যাট্রোলিং বাহিনী। সঙ্গে থাকবে ১৮টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড।
প্রতিবছর রেড রোডে ইদের সবচেয়ে বড় জামাত হয়। এছাড়াও শহরের অধিকাংশ মসজিদে হয় ইদের নামাজ। এছাডা়ও ছোটখাটো মাঠেও অনুষ্ঠিত হয় ইদের নামাজ। লালবাজার সূত্রে খবর, ইদের দিন শহরের ৬৭৮টি জায়গায় ইদের নামাজ হবে। ডেপুটি কমিশনার-সহ কলকাতা পুলিসের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা নিজেদের এলাকায় নজরদারি চালাবেন। থাকবে পিসিআপ ভ্য়ান ও কিআরটি।
গত বছরের মতো এবারও ইদের দিন রেড রোডে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে লালবাজার।
এদিকে, ইদের আগেই একবালপুরে খুলে গেল ষোলআনা গেট। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, রবীন্দ্রভারতীয় গেটটা বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে। হাতে টাকা এলে ওই গেটটা নতুন করে নির্মাণ করে দিতে হবে। একবালপুরের ভাইবোনদের আগাম ইদ মুবারক জানিয়ে গেলাম। প্রতিবারই রমজানের ইফতারে থাকি কারণ আমি বারবার বলি ধর্ম যারযার, উত্সব সবার। আমরা সবাই সবার সব উত্সবে মিলিত হই। সব উত্সবই আমাদের কাছে আদরণীয়। এবার যারা রোজে রেখেছেন তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে আমি জানি। তার পরেও একমাস রোজা রাখছেন তাদের রোজা কবুল হোক। আসুন এই সময়ে আমাদের রাজ্য, দেশ, গোটা পৃথিবীর জন্য শান্তি কামনা করি।