পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ত্রিকোণ প্রেমে’র কারণে ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্যামদাসপুরের বাড়ি থেকে সাগর সিং নামে বছর চব্বিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে আজ আদালতে পেশ করা হলে ৪ দিনের পুলিশ হেফাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ইদগামহল্লার বাসিন্দা বছর ১৭ শেখ আমান এদিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। পরে শহরেরই প্রতাপ বাগান এলাকা থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গলার নলি কেটেই ঐ কিশোরকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেই জানিয়েছেন।
খবর পেয়েই শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিএসপি-ডিএনটি, বাঁকুড়া সদর থানার আই.সি সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বাইক উদ্ধার করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
অন্যদিকে মৃত কিশোরের পরিবারের দাবি, ফোন করে ডেকেই ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি প্রয়োজনে তারা থানা ও এস.পি অফিস ঘেরাও করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃতের বাবা শেখ ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, “জুম্মা শেষে সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। হয়তো কোনও বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। পরে খবর আসে যে ওঁর গলায় চাকু মেরে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলেকে ডেকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের থেকে শুনি ওখানে পাঁচজন ছিল। কীভাবে এবং কেন এমন ঘটনা ঘটল তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।”