‘বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’ নামে সংগঠনের ব্যানারে তাঁরা দলের রাজ্য দপ্তরের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান তোলেন, ‘মুকুল রায়কে কোনও ভাবেই দলে ফেরানো যাবে না।’ এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে বলেন, ‘কোনও ঘটনায় কর্মী-সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতেই পারে। কী হয়েছে খবর নিয়ে দেখব।’
তবে মুকুলকে বিজেপিতে ফেরত নেওয়া হবে না–জোর গলায় তেমন দাবি করতে পারেননি সুকান্তও। তিনি বল ঠেলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোর্টেই। সুকান্তর কথায়, ‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে মুকুলবাবু আমাদের দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি ছিলেন। অর্থাৎ, তিনি কেন্দ্রীয় পদাধিকারী ছিলেন। তাই তাঁকে দলে ফেরত নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই বলবেন।’
কিন্তু মুকুল দলে ফিরতে চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই যদি বিজেপির রাজ্য দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়, তা হলে তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে ফেরালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ। রাজ্য বিজেপি দপ্তরে বিক্ষোভ দেখাতে আসা দলীয় কর্মীদের বক্তব্য, দলে থাকাকালীন মুকুল বিজেপির পুরনো অনেক নেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন।
তাঁদের অনেকে এখনও পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেননি। যদিও বিজেপির অন্য একটি অংশের যুক্তি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল আবার ভাঙছে, এই বার্তা গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে মুকুলকে দলে ফেরত নেওয়া যেতেই পারে। তাতে তৃণমূল নেতৃত্বের স্নায়ুর চাপ বাড়বে। বিজেপির এক রাজ্য পদাধিকারীর কথায়, ‘মুকুল নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। না হলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাতে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলই লাভবান হবে।’