Purba Medinipur : আজ বিশ্ব বই দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় দে’জ পাবলিশার্সের বইয়ের সম্ভার দেখা গেল। এভাবেই এই দিনটিকে সন্মান জানালেন রাজ্যের এই নামী বই কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বই প্রেমী জানান, “আজকে একটি বিশেষ দিন। সমস্ত বই প্রেমী মানুষ এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। যদিও বইয়ের জন্য ভালোবাসা জানানোর আলাদা কোনও দিন হয়না। তাও আজকের এই দিনে আমাদের শহরে এই ধরনের এক অভূতপূর্ব প্রয়াস দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। আজ এখানে এসে নানান ধরনের বইয়ের সমাহার দেখতে পেলাম।”

দে’জ পাবলিশার্সের এক কর্তা ও আয়োজক এই বিষয়ে বলেন, “এটা আমাদের তরফ থেকে বই দিবসে একটা ছোট্ট উপহার সমস্ত বই প্রেমী মানুষদের জন্য। শুধু আজকেই নয়। আমরা আগামি দিনেও এভাবেই মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যেসকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।” উল্লেখ্য, আজ বই দিবস।

Purba Medinipur News : মদের পর চা মাস্ট! দোকানি দেরি করায় চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক, তমলুকে চাঞ্চল্য
সাহিত্যের প্রতি সম্মান জানাতেই ২৩ এপ্রিল দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বই হল অবসর যাপনের সঙ্গী। কখনও সে বিনোদনের মাধ্যম, আবার সে জ্ঞান আরোহণের দিশারী। প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে বইয়ের সংখ্যা। বইকে ঘিরে বহু মানুষের আবেগ জড়িত।

১৯৯৫ সাল থেকে বইটিকে ঘিরে পালিত হচ্ছে দিনটি। বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। সাহিত্যের পাশাপাশি লেখকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপনও করা হয় এই বিশেষ দিনে। স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসকে বিশ্ব বই দিবসের জনক বলা যেতে পারে।

Purba Medinipur Rainfall : অবশেষে মিলল স্বস্তি! দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি
১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তাঁর ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই, ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে বিশ্ব বই দিবস পালন করা আরম্ভ করেন। এরপর প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার দাবি ওঠে। তারপর ১৯৯৫ সালে দিনটি স্বীকৃতি পায়।

Nandigram CPIM : নন্দীগ্রামে CPIM-র দেওয়াল লিখনে কালি! TMC-BJP-র বিরুদ্ধে অভিযোগ বামেদের
সেই থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর দিনটির আলাদা আলাদা থিম থাকে। উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রসংঘ উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জন্মদিন ২৩শে এপ্রিল দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। মানসিকতার বিকাশ ঘটে বই পড়ে। আত্মবিশ্বাস, আত্মসন্তুষ্টি, সহিষ্ণুতা, সাহস গুণে মানুষকে গুণান্বিত করে বই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed