সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েকমাস ধরে পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলি থেকে ব্যাপক পরিমানে ব্যাটারি চুরি হচ্ছিল। এই ঘটনা কার্যত নাজেহাল করে দিচ্ছিল গাড়ি চালকদের। এদিকে ঘটনার খবরে অতিষ্ঠ ছিলেন পাঁশকুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ শামিরুদ্দীনও।
প্রচুর অভিযোগ আসছিল তাঁর কাছে। সেই সঙ্গে তিনিও একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। পুলিশের পাশাপাশি দলবল নিয়ে চোর ধরতে প্রায় সময়ই তৈরি থাকতেন কাউন্সিলর। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কিছু চোরকে হাতে নাতে ধরতে সদলবলে চোরের পিছনে ছুট দেন ওই কাউন্সিলর সহ তার দলবল।
কিন্তু চোর বাবাজি মস্ত চালাক! ছুটেই ঢুকে যায় বিরাট এক হোগলাবনে। চোর ঢুকে পড়েছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ কিছু করার আগেই বুদ্ধি করে কাউন্সিলর ও তার দলবল জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আর আগুন দেখেই ভয়ে বেরিয়ে আসে চোর। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় সেই চোরকে। জানা যায়, ধৃতের নাম নাম শেখ ফারুখ তার বাড়ি পাঁশকুড়া ২ নং ওয়ার্ডের কনকপুরে। ধৃতকে পাঁশকুড়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ওই পার্কিং পয়েন্টের মালিক তথা কাউন্সিলর শেখ শামিরুদ্দীন জানান, “পাঁশকুড়ায় গাঁজা সহ অন্যান্য নেশাখোরদের উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে পাঁশকুড়া এলাকায় চুরি ছিনতাই এর ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আজ সকালে জাতীয় সড়কের পাশে পার্কিং পয়েন্টে রাখা গাড়ির সাতটি ব্যাটারি চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমি এবং আরও অনেকে ওই চোরকে ধাওয়া করি। এরপর চোর জঙ্গলে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে। আর তারপরই আমরা আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলে ধরা পড়ে একজন চোর।”
আটক ওই যুবকের নাম শেখ ফারুখ,বাড়ি পাঁশকুড়া ২ নং ওয়ার্ডের কনকপুরে। তবে পুলিশের সামনে কাউন্সিলরের এই কেরামতি ও জঙ্গলে আগুন অক্সিজেনের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হলেও চুরির হাত থেকে কিছুটা নিস্তার পেলেন গাড়িচালক ও মালিকরা। সেই সঙ্গে অবশ্যই কাউন্সিলর নিজেও।