Purba Medinipur : পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এলেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি রামনগরের উৎসব ভবনে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। এছাড়াও ইসকন মন্দিরে গিয়ে সন্ধ্যা আরতি দেন। এদিকে আজ শুক্রবার সকালে দিঘার সমুদ্রতটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হন দিলীপবাবু।

Dilip Ghosh : ‘এই পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী ভাবে সম্ভব?’ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের
সেখানেই তিনি আক্রমণ করেন তৃণমূলের অঘোষিত দু’নম্বর তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “উনি এখন দর্শন দিতে বেরিয়েছেন,বলছেন গ্রাম দেখতে বেরিয়েছি। কোটি টাকার তাঁবু লাগিয়ে প্রচুর টাকা খরচা করে দরবার বসাচ্ছেন। আর মানুষের বাড়িতে খাবার নেই, চাল নেই, মানুষের নিরাপত্তা নেই। রাজ্যে চাকরি চুরি হয়ে গিয়েছে। আবাস যোজনার বাড়ি চুরি হয়েছে, সড়ক যোজনা রাস্তা চুরি হয়েছে। আর এগুলো করেছে সব তৃণমূল নেতা কর্মীরাই।”

এদিন সকালবেলা নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সি বিচ বরাবর মর্নিং ওয়ার্ক করেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে হাঁটেন, পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “বাড়িতে বাড়িতে পাড়ায় পাড়ায় খুন ধর্ষণ চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজে চুপচাপ আছেন।”

Dilip Ghosh : ‘কোথাও কিছু বলতে পারবেন না?’, সাক্ষাৎকার ইস্যুতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সমর্থন দিলীপের
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি পৌঁছায়নি। যেখানে মানুষ পৌঁছায়নি সেখানে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে”। তিনি বলেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গ এখন অশান্ত। সারা বাংলায় আগুন জ্বলছে। এখানে মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই, নিরাপত্তা নেই। আর এদিকে ঘটা করে দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করা হচ্ছে। সব শুধু পোস্টারে আছে, আসলে কিছুই নেই। তৃণমূল দলটাই চোর, গুণ্ডা মাফিয়াদের পার্টি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও সব ওই ধরনের লোকেরাই টিকিট পাবে। আর ওরা টিকিট না পেলে ভোটটাই করাতে দেবে না।”

Sukanta Majumdar : ‘নব চোর বাছতে বেরিয়েছেন…!’ তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ সুকান্তর
দিলীপ আরও বলেন, “DM, SP সবাইকে ডেকে পাঠিয়ে কড়কানোর দরকার আছে। এই সমস্ত অফিসাররা এখন তৃণমূল পার্টির ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করছেন। যার জন্য মানুষের উপর অত্যাচার নেমে আসছে। তাই নিজেকে সবাই অসুরক্ষিত বলে মনে করছে। এদের উপর সাধারণ মানুষ ভরসা পাচ্ছেন না। তাই কেন্দ্র বারবার দল পাঠাচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিম রিপোর্টও চাইছেন। এদের তৃণমূল বেতন দেয় না। সাধারণ মানুষের করের টাকায় এদের বেতন হয়। কিন্তু এরা সংবিধানকে মান্যতা না দিয়ে তৃণমূলের তাঁবেদারি করছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed