West Bengal News : পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে শাসক বিরোধী সব শিবির প্রচারের ময়দানে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসক বিরোধী সভা এবং পাল্টা সভা চলছে সারা জেলা জুড়ে। আজ বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি মহিলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে এসে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়।

Santanu Sen TMC : “…হিম্মত নেই! তাই বলছে নো ভোট টু মমতা”, শুভেন্দুকে তোপ শান্তনুর
আর এখানে এসেই এক অতি বিতর্কিত মন্তব্য করে জেলার রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তিনি। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি কোনও বিরোধী শক্তি আপনাদেরকে ভয় দেখাতে আসে, তাহলে শক্ত হাতে দাঁড়ান। প্রয়োজন পড়লে লাঠি হাতে বঁটি হাতে তা প্রতিহত করুন।”

বাঁকুড়ায় এসে এমন মন্তব্য করেছেন সাংসদ মালা রায়। এখানে যোগদান করে মমতা ব্যানার্জির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সমীক্ষা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি এক হাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

Bankura TMC : সহ সভাপতির বিরুদ্ধে পালটা সভা বিধায়কের, বড়জোড়ায় তুঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষেছিলেন। কারও ভাইকে বিধায়ক তো কারও ভাইকে চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদ পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেই লোক এখন পিছন থেকে ছুরি মারছে। দিল্লিতে মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার প্রাপ্য টাকাকে আটকে দিতে বলছেন নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন কেন্দ্রের যে প্রকল্প গুলো রাজ্যের প্রাপ্য, রাজ্য তার বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।”

এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতেও দেখা গেল মালা রায়কে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়যুক্ত করে নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। তিনি বলেন, “এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনতা জনার্দনের রায় কার পক্ষে থাকে। আমরাই জিতব।”

Abhishek Banerjee : অভিষেকের ‘নবজোয়ার’-এর আগেই বড় ধাক্কা! মেখলিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে হাজার কর্মী
এদিকে বর্ষীয়ান সাংসদের এই ধরনের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP। কোতুলপুরের এক স্থানীয় BJP নেতা এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “তৃণমূলের সব নেতা মন্ত্রী সাংসদদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই এই ধরনের উসকানিমূলক কথা বার্তা বলছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাঁকুড়ার মানুষ এই ধরনের উসকানিতে পা দেবেন না। ওনারা বুঝে গিয়েছেন যে আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের হার হতে চলেছে। তাই এই ধরনের কথা বলে কর্মীদের মনোবল বাড়াচ্ছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version