ভবানন্দ সিংহ: ২০২৬-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকর্মীদের টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কত? উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এক জনসভায় তিনি বললেন, ‘২০২৬-এ ২৪০ হবে’।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। কাকে প্রার্থী চান? গোপন ব্যালটে এবার মতামত জানাবেন সাধারণ মানুষই। কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচির পোশাকি নাম, তৃণমূলে ‘নবজোয়ার’।
২৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। জলপাইগুড়ি হয়ে এখন উত্তর দিনাজপুরে অভিষেক। এদিন চোপড়ার এক জনসভায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূলকে ধমকে-চমকে আটকাতে পারবেন না। তৃণমূলকে যত ধমকেছে, যত চমকেছেন, তৃণমূল তত শক্তিশালী হয়েছে’। তাঁর আরও বক্তব্য, ২০১১ সালে ক’টা সিট ছিল, ১৮৪। ২০১৬-এ ২১১, আর ২০২১-এ ২১৪। ২০২৬-এ ২৪০ হবে’।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘টার্গেট তো বাঁধাই যায়। স্বপ্ন দেখা যায়, তাতে শরীর-মন ভালো থাকে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূল দলটা থাকে কিনা, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ২৪০ আসনের বুথে এজেন্ট দিতে পারবে কিনা, আগে সেই সংগঠন করুক’। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘২০২৬-র বিধানসভায় মাত্র ২৪০টা বললেন কেন? ২৯৪ টা না বলে। গত লোকসভাতে তো ৪২-৪২ ছিল। তাহলে ২৯৪-এ ২৯৪ থাকা উচিত। হঠাৎ ৫৪টা বাদ দিয়ে দিলেন কেন? বিজেপির সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। কয়েকটা ছাড়া হোক’।
এদিকে চোপড়ায় অভিষেকের সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘অভিমানী’ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সকাল থেকে বাড়িতেই অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘আমি খবর পাইনি যে অভিষেক আসছে। আমায় আমন্ত্রণ করেনি। অভিষেক যদি আসে, তাহলে চলে যাব’।