জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় এবার ১৫টি বৈদ্যুতিন এসি ভেসেল নামাতে চলেছে রাজ্য পরিবহন দফতর। বাতানূকুল ছাড়াও সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত এই ভেসেলগুলিতে থাকবে বায়ো-টয়লেট, অত্যাধুনিক সিট ছাড়াও একাধিক সুযোগ সুবিধা। ১৫টি ভেসেলের মধ্যে ছোট বড় মিলিয়ে দু’ধরনের জলযানই থাকবে। বড় ভেসেলগুলিতে সর্বোচ্চ ২৫০ জন চাপতে পারবেন। ছোট ভেসেলগুলিতে উঠতে পারবেন প্রায় ১০০ জন যাত্রী।
মোট ১৩টি এসি, অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধে সহ ভেসেল পরিষেবার জন্য নামানো হবে। তবে এই অত্যাধুনিক ভেসেলের ভাড়া কী হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রাখতে সেই হিসেবে ভাড়া নির্ধারণ হবে। বর্তমানে গঙ্গা পারাপারে যাত্রীদের ন্যূনতম ছয় টাকা খরচ করতে হবে। এসি ভেসেলের ভাড়াও এর মানানসই হবে বলে আশ্বাস।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, সড়কপথে জ্যামজটের সমস্যা কমাতে জলপথকে ঢেলে সাজাচ্ছে সরকার। নিত্যদিনের যাতায়াত ছাড়াও গঙ্গাবঙ্গে ট্যুর নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ দফতরের। পর্যটরদের জন্য ক্রুজ আনারও পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ দফতরের। ‘ওয়ান ডে’ টুর, ‘ওভারনাইট’ টুর দুইয়েরই ব্যবস্থা থাকবে। এই ক্রুজগুলিতে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৭৫ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও শিপ ইয়ার্ড তৈরি নিয়ে বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহন দফতরের। কোচি শিপ ইয়ার্ডের ধাঁচে রাজ্যে চারটি করে জেটি নিয়ে তিনটি ইয়ার্ড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। হাওড়া, মিলেনিয়াম পার্ক এবং চন্দননগরে এই শিপ ওয়ার্ড তৈরি করা হতে পারে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরে ফেলেছেন নবান্ন-বন্দর কর্তৃপক্ষ।