অভিষেকের বিরুদ্ধে শুভেন্দু দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, জাতীয় সড়ক আইন অনুযায়ী অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারবে না। কিন্তু ইটাহার ও ফরাক্কাতে রাস্তা আটকে অভিষেকের মিছিল হয়েছে। আদালতে এই মামলা গৃহীত হয়েছে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলা শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মালদায় শুভেন্দুর সভা নিয়ে জটের মধ্যেই অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় রাজনৈতিক পারদ আরও চড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৭ মে মালদায় শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিলেও পরে তা খারিজ করে প্রশাসন। মালদার সভার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আয়োজকরা।
হাওড়া শ্যামপুর হোক বা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা, সভার অনুমতি না পেয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। মালদার সভা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, মালদায় বিজেপির সভাতে অভিষেকের ‘নবজোয়ার’-র থেকে পাঁচগুণ বেশি লোক হবে। একই সঙ্গে মমতা ও অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি দাবি করেন, পারলে যেন তাঁরা আটকে দেখান। তবে সেই সভার জল এবার আদালত অবধি গড়াল। আজ দুপুর দুটোয় বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মালদায় শুভেন্দুর সভা নিয়ে জেলা পুলিশের দাবি, কেন ১৫ দিন আগে মালদার সভার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়নি? পালটা গেরুয়া শিবিরের দাবি, অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে আবেদন করতে খানিক সময় লেগেছে।
অন্যদিকের সম্প্রতি চুঁচুড়া সভা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিতম মজুমদারকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘এখানকার বিধায়ক ১০০ জনের চাকরি বেচেছে। এই জেলায় নয় বর্ধমানে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। কুন্তল, শান্তনুই শেষ নয় হুগলি থেকে আরও অনেকে ভিতরে ঢুকবে।’ এখন মালদার সভা নিয়ে আদালত কী রায় দেয় সেটাই দেখার।