জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে এখন পুরুলিয়ায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বান্দোয়ানের একটি চপের দোকানে যান অভিষেক। সেখানে চা-তেলেভাজা সহযোগে আড্ডার ছলে জনসংযোগ করতে দেখা যায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

Abhishek Banerjee : নিজামে পৌঁছলেন অভিষেক, ‘কঠিন’ প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি CBI-ও
অভিষেককে কাছে পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না স্থানীয়দের। বোরো কালীতলা এলাকায় তৃণমূল সাংসদকে চপের দোকানে দেখে ক্রমেই সেখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে স্থানীয়দের। তাদের যাবতীয় অভাব-অভিযোগের কথা মন দিয়ে শোনেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। গরম গরম তেলেভাজার সঙ্গে চায়ের কাপে চুমুক দিতেও দেখা যায় অভিষেককে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চান তৃণমূল সাংসদ। স্থানীয়রা তাঁকে জল ও রাস্তার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

বোরো কালীতলায় চপের দোকানে অভিষেকের এই জনসংযোগ যে খানিক আলাদা, তা তৃণমূল সাংসদের ফেসবুক পোস্ট থেকেও বোঝা গিয়েছে। ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে অভিষেক লেখেন, ‘পুরুলিয়ার বোরো কালীতলায় বৃষ্টির পর তেলেভাজা আর চায়ের সঙ্গে সন্ধেবেলাটা জমে গেল। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধের সঙ্গে আজ গ্রামবাংলার সঙ্গে মিশে গেলাম।’

Abhishek Banerjee : হাইকোর্ট ফেরাতেই CBI তলব, নবজোয়ার ছেড়ে রাতেই কলকাতায় অভিষেক
অভিষেক আরও লেখেন, ‘সেখানকারা সাধারণ মানুষের আন্তরিকতার কোনও অভাব ছিল না। আমাকে কাছে পেয়ে নানা সুবিধা-অসুবিধা, ভালো-মন্দের কথা তাঁরা ভাগ করে নিয়েছেন। জনসংযোগ যাত্রার এই বিশেষ চা-পর্ব আমার কাছে সত্যিই বিশেষ হয়ে থাবে। এই স্মৃতি আমার কাছে অমূল্য।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘চপ শিল্প’-র কখা শোনার পর তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, যুব সমাজকে চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে তাদের চপ ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময়ে তেলেভাজার দোকানে চপ ভাজতে দেখা গিয়েছে। এদিন অভিষেককেও সেই চপের দোকানে দাঁড়িয়ে জনসংযোগ করতে দেখা গেল।

Mamata Banerjee : ‘২০ মে দীর্ঘজীবী হোক’, অভিষেকের CBI হাজিরার দিন ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট মমতার
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার হুটমুড়া ময়দানে জনসভাও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সভা থেকে স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ধর্ম ও জাতীয়তাবাদের নামে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি ভোটে জিতে কোনও কাজ করেনি। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের জন্য মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। এখন ২ হাজার টাকার নোট বদলানোর জন্য মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে বলব, এবার প্রধানমন্ত্রী বদলের জন্য ভোটের লাইনে দাঁড়ান।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *