বিক্ষোভকারীদের দাবি, এর আগেও টাকা চাইতে এলে তাঁদের বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ছ’মাস ধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যরা নিখোঁজ বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। টাকা নেওয়ার জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউ এবং নকল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ‘প্রতারিত’ চাকরিপ্রার্থীদের।
অবিলম্বে সেই টাকা ফেরতের দাবিতে এই আন্দোলন বলে জানিয়েছেন তারা। উত্তম ঘোষের ভাগ্নে মিঠুন ঘোষের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করা একটি ভিডিয়ো রয়েছে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে সেখানে এসে উপস্থিত হয় কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর বিক্ষোভকারীরা অবস্থান তুলে নেয়। বিক্ষোভকারীদের প্রমাণ সহ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওযার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
অবস্থান বিক্ষোভকারী সুমন কুমার নাথ বলেন, ‘চাকরি নামে উত্তম ঘোষ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কৃষি দফতরে চাকরি নামে টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। আড়াই বছর হয়ে গেলেও চাকরি পাওয়া যায়নি। ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়। পরে বুঝতে পারে গোটাটাই ভুয়ো। আমি ১১ লাখ টাকা দিয়েছি, সেটা ফেরত চাই।’
যদিও গোটা ঘটনা কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এর সাথে কোনওভাবেই যুক্ত নই। প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেব। আমি বাড়িতেই রয়েছি।’ যদিও ভাগ্নের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘মিঠুনের টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু আমার ভাগ্নের টাকা নেওয়ার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার বদনাম করা হচ্ছে। আমি প্রয়োজনে মানহানি মামলা করব।’