বন্দে ভারত সেমি স্পিড ট্রেন সহ একাধিক এক্সপ্রেস, সুপার ফার্স্ট ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রুটে এসি ভলভো বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে। তাতে উত্তরবঙ্গে আরও বেশি পর্যটকদের আগমন ঘটছে। এবার ডুয়ার্সেও বিমান পরিষেবা শুরু হলে তা উত্তরবঙ্গ পর্যটনে বিপুল লাভের মুখ খুলবে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী ডুয়ার্সের সমস্ত পর্যটনস্থলের একেবারে কাছে হাসিমারা বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৩ কিমি দূরে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বক্সা ফরেস্ট। উত্তরে ভুটানের ফুন্টশোলিংয়েও এখান থেকে যাওয়া সম্ভব। দূরত্ব সাড়ে আঠারো কিলোমিটার। হাসিমারার সবথেকে কাছে চিলাপাতা ফরেস্ট। অর্থাৎ বিমান পরিষেবা শুরু হলে চোখের পলকে কলকাতা থেকে ডুয়ার্সের যেকোনও পর্যটন স্থলে পৌঁছনো সম্ভব।
শুধু হাসিমারা নয়, কলাইকুণ্ডায় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতেও যাত্রীবাহী বিমান ওঠা-নামার অনুমতি মিলেছে। এর ফলে খড়গপুর, হলদিয়ার মতো মেদিনীপুরের আরও অংশের সঙ্গে বায়ুপথে যুক্ত হবে কলকাতা। ফলে শুধু যাত্রী পরিষেবা বা পর্যটনে উন্নয়নই নয়, শিল্পের উন্নয়নেও সদর্থক প্রভাব ফেলবে এই নয়া দুই রুটে বিমান পরিষেবা।
বিমানের ভাড়া
ট্রেন বা বাসরুটের পাশাপাশি ডুয়ার্স অবধি বিমান পরিষেবা শুরু হলে ভাড়া কতটা পকেটসই হবে সেই প্রশ্ন জনসাধারণের মনে। জানা গিয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে যে বিমান সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে, রুট ও ভাড়া তারাই স্থি্র করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে খবর। তবে যাত্রী বিমানের মোট আসন সংখ্যার ২০ শতাংশের ভাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বহন করবে বলে খবর।
শুধু হাসিমারা ও কলাইকুণ্ডা নয়, শীঘ্রই মালদা ও বালুরঘাটেও বিমান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে বলে খবর।
