ছুটির দিনে বন্ধ ব্যাঙ্কে আগুন লাগায় একদিকে যেমন মানুষের আটকে পড়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু, অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাঙ্কে থাকা টাকা ও গ্রাহকদের জমা রাখা বহুমূল্য জুয়েলারি-সম্পদ সহ বিপুল পরিমাণ দরকারি ও মূল্যবান নথি পুড়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।
কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে ই আগুন লাগতে পারে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ব্যাঙ্কের টাকা ও মেশিন থেকে শুরু করে কম্পিউটারের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দমকল সূত্রে খবর। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা। অনুমান, সোমবার অর্থাৎ আগামীকাল ব্যাঙ্কের সব কর্মীরা এলেই তখনই জানা সম্ভব হবে কী কী মূল্যবান জিনিস অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হয়েছে।
ওই ব্যাঙ্কে নিজেদের আমানত গচ্ছিত রাখা গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সকালে ব্যাঙ্কে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় অনেক গ্রাহক। এই ব্যাঙ্কের বহু দিনের গ্রাহক অসিত দেবনাথের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বলেন, ”সামনের অগাস্টে মেয়ের বিয়ে। সব গয়না কিনে ব্যাঙ্কের লকারে রাখা। এই শেষ মুহূর্তে যদি কিছু অঘটন ঘটে, তাহলে কী করে কী করব জানি না। কাল ব্যাঙ্ক থেকে সরকারিভাবে তথ্য না জানা অবধি টেনশনে বসতেও পারছি না।”
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত বড় একটি ব্যাঙ্ক অথচ এখানে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই।